ডিবির মাদক উদ্ধার অভিযানে একজনের মৃত্যু
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২১ পিএম
শরীয়তপুরের জাজিরায় ডিবি পুলিশের মাদক উদ্ধার অভিযানের সময় মিলন বেপারী (৫৫) নামে একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার রাত ১০টায় উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের কালু বেপারীকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিলন স্থানীয় মৃত আমজাদ বেপারীর ছেলে।
জেলা ডিবি পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে পদ্মা সেতু এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালান গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এ সময় মোজাম্মেল মাঝি নামের একজনকে গাঁজাসহ আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জামাল বেপারীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় জামালের প্রতিবেশী ও মামা মিলন বেপারীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ ও মারধর করে ডিবি পুলিশ। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রোববার দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
নিহতের ভাগিনা শিপন বেপারী বলেন, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মামাকে ঘর থেকে ডেকে প্রথমে চর-থাপ্পর দেয়। পরে মাদক ব্যবসায়ীরা কোথায় আছে জানতে চায়। তিনি জানেন না বললে, পুলিশ তাকে ব্যাপক মারধর করে।
নিহতের স্ত্রী রেনু বেগম অভিযোগ করে বলেন, ডিবি পুলিশ রাতে বাড়িতে তল্লাশি করার পর আমার স্বামীকে মারধর করেছে। মারধর করায় তার মৃত্যু হয়েছে। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আকরাম এলাহী বলেন, গতকাল রাতে মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রির্পোট আসলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।
জেলার ডিবি পুলিশ পরিদর্শক আবু বকর মাতুব্বর বলেন, পদ্মা সেতু এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জামাল বেপারীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তার মামা মিলন বেপারী খবর পেয়ে ছুটে আসার সময় আতঙ্কিত হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ডিবির সদস্যরা তার পরিবারকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। আমরা তখন অন্য আসামিদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি। পরে শুনতে পাই তিনি মারা গিয়েছেন। তবে ডিবি পুলিশের মারধরের বিষয়টি সত্য নয়।
আটক মাদক ব্যবসায়ী মোজাম্মেল মাঝির নামে ৯ ও জামাল বেপারীর নামে ৩টি করে মামলা রয়েছে।