মায়ের সামনেই ছেলেকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন
চৌদ্দগ্রাম দ. (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৫ পিএম
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে ইমরান হোসেন (২১) নামে এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন।
নির্যাতনের শিকার ইমরান উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
নির্যাতনের ঘটনায় ইমরানের পরিবার সন্ত্রাসী শহিদুর রেজা রতন মিয়াজীকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা গেছে, পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রী ইমরান শুক্রবার রাতে স্থানীয় তারাশাইল বাজারের বিকাশ দোকান থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় শহিদুর রেজা রতন মিয়াজীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার পথরোধ করে। তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে তার মা আফরোজা বেগম এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। মায়ের সামনেই ইমরানকে মসজিদের পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন চালায়। সেই সময় সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়াতে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি। একপর্যায়ে ইমরান অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। তাকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে তাকে কুমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিওচিত্র শনিবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা গা ঢাকা দিয়েছে।
ইমরানে মা আফরোজা বেগম বলেন, শহিদুর রেজা রতন মিয়াজী চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এলাকায় তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। তার সামাজিক অপকর্মের বিরুদ্ধে আমার ছেলে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করতো। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলেকে হুমকি দিয়ে আসছিল।
তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার পরে আমার ছেলে দোকান থেকে বিকাশের টাকা উঠিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে একা পেয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর শুরু করে সন্ত্রাসীরা। আমি ছুটে গেলে তারা আমাকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। আমার ছেলেকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে ৩ ঘণ্টা ধরে মারধর করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। আমি এর বিচার চাই।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিযুক্ত শহিদুর রেজা রতন মিয়াজীকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর পরিবার লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।