কুড়িগ্রামে দেখা নেই সূর্যের, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম
ফাইল ছবি
পাঁচদিন ধরে কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা মিলেনি। মাঝে মধ্যে দেখা মিললেও মুহূর্তেই আবার হারিয়ে যাচ্ছে ঘন কুয়াশার আড়ালে। পাশাপাশি হিমেল হাওয়া ও হাড় কাঁপানো ঠান্ডাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলাটি। বিপাকে পড়েছেন নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষ।
শনিবার সকালে কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১.৪ চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। পাশাপাশি কুয়াশাও থাকতে পারে বলে জানা গেছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ওসি সুবল সরকার বলেন, ‘এ রকম শীত আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। থাকবে কুয়াশাও।’
তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা ও আলু খেত নিয়ে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
এদিকে তীব্র শীতে কাজ পাচ্ছেন না নিম্ন আয়ের মানুষেরা। শীতের জন্য অনেকে কাজেও যেতে পারছেন না। জরুরি কাজ ছাড়া বের হচ্ছেন না কেউ। অনেকে আবার শীতের কাপড় না থাকার কথাও জানিয়েছেন।
কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের চর সারডোব গ্রামের বাসিন্দা অশীতিপর কাজলী বেওয়া। নিজের পাতলা চাদর দেখিয়ে এই বৃদ্ধা বলেন, ‘বাবা, এই কাপড় দিয়া ঠান্ডা যায়। একটা কম্বল দিলে ভালো হতো।’
একই গ্রামের হামিদা বেগম বলেন, ‘চরে শীত বেশি। কিন্তু আমাদের কেউ কাপড়-চোপড় দেয় না।’
একই গ্রামের আমজাদ আলী ভুট্টা খেতে কীটনাশক প্রয়োগ করছিলেন। তিনি বলেন, ‘এমন ঠান্ডায় ভারি কাপড় ছাড়া মাঠে নামা যায় না। কিন্তু শ্রমিকেরা তো গেঞ্জি গায়ে দিয়া কাজ করছে। তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু করার কিছুই নাই।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, চলতি বছর জেলার ৯ উপজেলায় ৩৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। মাঝখানে শীত কমে যাওয়ায় নতুন করে আর চাহিদা দেওয়া হয়নি। তবে পরিস্থিতি প্রতিকূলে গেলে নতুন করে বরাদ্দ চাওয়া হবে।