ক্ষেতলালে পুলিশ-ডাকাত গোলাগুলি, আহত ২
ক্ষেতলাল (জয়পুহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পুলিশ ও ডাকাত দলের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার আলামপুর গ্রামে শুক্রবার রাতের এ ঘটনায় পুলিশসহ দুজন আহত হয়েছে। দুই নারীসহ আটক করা হয় পাঁচজনকে। উদ্ধার করা হয় দেশীয় অস্ত্রও। তবে সুযোগ পেয়ে পালিয়ে গেছে কয়েকজন অস্ত্রধারী ডাকাত।
আটককৃতরা হলেন- বগুড়া দুপচাঁচিয়া কোল গ্রামের মজিবর উদ্দীনের ছেলে মাঝের আলী ওরফে খোকা (৪৮ ), ক্ষেতলালের দেওগ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মাজেদ (২৬), আক্কেলপুর উপজেলার আলী মাহমুদপুর গ্রামের মোহন রবিদাসের ছেলে শ্রী প্রশান্ত রবিদাশ (২৭), মোমেনা খাতুন (২৩), ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার টেপাখোলা গ্রামের মোতালেব মল্লিকের মেয়ে সিনথীয়া আক্তার (২০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডাকাতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আলামপুর গ্রামের আবুল হায়াতের বাড়ি ঘেরাও করে ডিবি পুলিশ।
এ সময় ডাকাত দলের সদস্যদের আত্মসমর্পনের জন্য বলা হলে তারা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। একপর্যায়ে পুলিশ পিছু হটে সহায়তা চায়। এর প্রেক্ষিতে জয়পুরহাট সদর, পাঁচবিবি, কালাই ও ক্ষেতলাল থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়। তবে এর আগেই কয়েকজন অস্ত্রধারী ডাকাত পালিয়ে যায়।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পালটা ১২ রাউন্ড গুলি (কার্তুজ) ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্য রবিদাশ পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধরতে গিয়ে ডিবি পুলিশের একজন সদস্য গুরুতর আহত হয়। আহত হয় রাবিদাশও।
ডিবি পুলিশের জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় দেওয়া হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
ক্ষেতলাল থানা ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘তারা ডাকাতির উদ্দেশে একত্রিত হয়েছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’