Logo
Logo
×

সারাদেশ

প্রেমিককে খুন করে ট্যাংকিতে ফেলে রাখেন প্রেমিকা

Icon

আশুগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম

প্রেমিককে খুন করে ট্যাংকিতে ফেলে রাখেন প্রেমিকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পরিত্যক্ত ট্যাংকি থেকে ইসমাইল মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর টানপাড়া গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। 

পুলিশের ধারণা- পরকীয়ার বলি হয়েছেন ওই ব্যক্তি। তাকে মেরে ট্যাংকিতে ফেলেছেন তারই প্রেমিকা। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত ইসমাইল মিয়া উপজেলার লামা শরীফপুর গ্রামের মৃত উজির আলীর ছেলে। আর আটককৃতরা হলেন- টানপাড়া গ্রামের শান্তা আক্তার (৩৫) ও তার স্বামী সুমন মিয়া (৪০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন ইসমাইল। পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে না পেয়ে শুক্রবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এরই মধ্যে বেলা আড়াইটার দিকে টানপাড়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির বাথরুমের ট্যাংকির ভেতরে লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা শান্তা ও সুমনকে আটক করে পুলিশে দেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের বিষয়টি শান্তা স্বীকার করেছেন বলে জানায় পুলিশ। 

পুলিশ বলছে- দীর্ঘদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল শান্তা ও ইসমাইলের। বৃহস্পতিবার রাতে সুমন বাড়ি না থাকায় সেখানে আসেন ইসমাইল। ঘরে ঢুকে শান্তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে চান তিনি। এ সময় শান্তা বাধা দিলে ইসমাইল শান্তার মেয়েকে জাপটে ধরেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজমিস্ত্রি কাজের যন্ত্র কোটাবাড়ি দিয়ে ইসমাইলের মাথায় আঘাত করেন শান্তা। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ইসমাইল। পরে শান্তা পরকীয়া প্রেমিকের পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর মেয়ের সহযোগিতায় লাশটি পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত বাড়ির বাথরুমের ট্যাংকিতে ফেলে দিয়ে আসেন।

নিহতের ছেলে সাদ্দাম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সুমন ও শান্তাসহ অজ্ঞাতনামা খুনিরা আর্থিক কোনো কারণে তার বাবাকে হত্যা করেছে।

এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ওসি মো. বিল্লাল মিয়া বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খুনের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ ও তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম