ফরিদপুরে বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে গণপিটুনিতে মো. মিরান খাঁ (৩৫) নামে যুবদলের এক সাবেক নেতা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের গদাধরডাঙ্গী গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান।
পুলিশ বলছে, মিরানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তবে নিহতের ভাইয়ের দাবি, প্রতিপক্ষের লোকজনই তার ভাইকে হত্যা করেছে।
নিহত মিরান খাঁ সদর উপজেলার উত্তর সাদীপুর এলাকার জালাল খানের ছেলে। তিনি আলিয়াবাদ ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। পরিবার নিয়ে গদাধরডাঙ্গীর গুচ্ছগ্রামে বাস করতেন মিরান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকজনকে নিয়ে গুচ্ছগ্রামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালান মিরান। তারা বিভিন্ন বাড়িতে ভাঙচুর ও কুপিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করেন। অন্যরা পালিয়ে গেলেও মিরান স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন। পরে তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এতে গুরুতর আহত হন মিরান। তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে একটি এয়ারগান ও রামদা উদ্ধার করা হয়।
নিহতের ভাই ইরান খাঁ অভিযোগ করে বলেন, মিরান মাছ ও বালুর ব্যবসা করত। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজনের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। এর জেরে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে প্রতিপক্ষের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। পরে গুচ্ছগ্রামের একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেই ঘরের মধ্যে কিছু মালপত্র ভাঙচুর করে ডাকাতির নাটক সাজায়।