জয়পুরহাট জেলার সদর ও পাঁচবিবি থানার ওসিকে শাস্তির আওতায় আনাসহ ৯ দফা দাবিতে সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টার দিকে এ কর্মসূচি শেষ হয়। জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এসব শিক্ষার্থী প্রথমে জয়পুরহাট শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ মার্কেটের সামনের শহিদ চত্বরে অবস্থান নিয়ে তাদের দাবির স্বপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। 

এরপর বিক্ষোভ মিছিলসহ শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে সমবেত হয়ে তাদের কর্মসূচি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে পুনরায় বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের গেটের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয় এবং তাদের ৯ দফা দাবি ঘোষণা করে। এরপর তারা আবারও বিক্ষোভ মিছিলসহ সেখান থেকে জয়পুরহাট আইনজীবী সমিতি ভবন চত্বরে গিয়ে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন।

এ কর্মসূচি চলাকালে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী নেতাদের মধ্যে কেএম সাজিন, ফারজান হোসেন, নিয়ামুর রহমান নিবিড়, এহসানুল নাহিদ, সুলতানুল আরেফিন রিমু, আলামিন ফকির প্রমুখ বক্তব্য দেন।

জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা তাদের ৯ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বাইরে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ নীরব রয়েছে। আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে পুলিশ সখ্যতা গড়ে তুলেছে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জয়পুরহাটে ডিবি ওসি ও ডিআইও-১ এর দায়িত্ব পালন করা দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে শাস্তির আওতায় না এনে তাদের পদোন্নতি দিয়ে জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি থানার ওসি করা হয়েছে। 

অতি দ্রুত তাদের শাস্তির আওতায় আনা ও শিক্ষার্থী হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় আওয়ামী লীগের জামিন করা আসামিদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তারা।