সুযোগ পেয়েও প্রান্তির মেডিকেলে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত
শাহজাহান হেলাল, মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
মেধাবী শিক্ষার্থী প্রান্তি বিশ্বাস। এসএসসি ও এইচএসসিতে পেয়েছে জিপিএ-৫। প্রথমবার পরীক্ষা দিয়ে মেডিকেলে পড়ার সুযোগও পেয়েছেন। তবে, এতে করে দুশ্চিন্তা বেড়েছে প্রান্তি ও তার পরিবারের। কারণ, অর্থাভাব। ভর্তি ও লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার মতো টাকা নেই তার পরিবারের কাছে।
প্রান্তি ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলা কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাট গোবিন্দপুর গ্রামের রমেন বিশ্বাস ও চঞ্চলা বিশ্বাস দম্পতির মেয়ে। প্রান্তি বাদেও পেশায় কাঠমিস্ত্রি রমেনের রয়েছে আরেক ছেলে। সেই ছেলে একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা শেষ করে বেকার অবস্থায় রয়েছে। রমেনের একার আয়ে চলে পরিবারটি।
প্রান্তি জানান, ধারদেনা করে তার বাবা তাদের লেখাপড়ার খরচ চালায়। এমনকি, এক পাওনাদার তার বাবা-মায়েল নামে মামলাও করেছে। এইএসসি পাশের পর স্থানীয় এক শিক্ষক তাকে কোচিং সেন্টারে ভর্তি করিয়ে দেন। এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘বাবা দিনে মাত্র পাঁচশ টাকা আয় করেন। আবার কোনো কোনো দিন কাজ বন্ধও থাকে। বাবার টাকা দিয়ে সংসার চালাতেই কষ্ট হয়। আমার পড়ালেখার খরচ কেমনে দিবে।’
প্রান্তির মা চঞ্চলা বিশ্বাস বলেন, ‘আমার মেয়ে ছোট সময় থেকে পড়াশোনায় ভালো। সকল শ্রেণিতে ফার্স্ট হয়েছে। সে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। অভাব আমার মেয়েকে আটকাতে পারেনি। তবে, ভর্তির টাকা ও সামনের পড়ালেখার খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
কানাইপুর
বেগম রোকেয়া কিশলয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক চঞ্চল দত্ত বলেন, ‘প্রান্তি
অনেক মেধাবী। শুধু লেখাপড়ায় না, খেলাধুলায়ও জেলা
চ্যাম্পিয়ন। এখন সে মেডিকেলে চান্স
পেয়েছে। কিন্তু,
টাকার অভাবে ভর্তি হওয়া নিয়ে চিন্তায়
আছে। আমরা সবাই যদি একটু
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই
তাহলে মেয়েটা সবার মুখ উজ্জ্বল
করবে।’