Logo
Logo
×

সারাদেশ

৩২ হাজির টাকা নিয়ে উধাও এজেন্সি পরিচালক, আদালতে মামলা

Icon

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২২ পিএম

৩২ হাজির টাকা নিয়ে উধাও এজেন্সি পরিচালক, আদালতে মামলা

বরগুনা ও পিরোজপুরের পাঁচ উপজেলার ৩২ হাজীর কাছ থেকে ৩৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বরগুনা দারুস-সুন্নাহ হজ কাফেলা এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ জাকারিয়ার বিরুদ্ধে। 

বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু মণ্ডলের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী তারিকুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ মুবিন।

অভিযুক্ত এম এ জাকারিয়া বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার ওলামাগঞ্জ এলাকার মাওলানা রুহুল আমিন এর ছেলে। বরগুনা পৌর এলাকার আল-মিজান শপিং কমপ্লেক্স অ্যান্ড মসজিদ মার্কেটের দারুস সুন্নাহ হজ্জ ও উমরাহ এজেন্সির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

ভুক্তভোগীরা জানান, গত আগস্টে বরগুনা ৩২ জন জাকারিয়ার মাধ্যমে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যান। সেখানে গিয়ে হাজিদের হাত খরচের প্রায় ২৮ লাখ টাকা ও বিমানের ফিরতি টিকিট না দিয়ে পালিয়ে যান জাকারিয়া।

মামলার বাদী পাথরঘাটা উপজেলার বাসিন্দা তারিকুল জানান, সৌদি আরবের জন্য হাত খরচা ও জুয়েলারি কেনার জন্য জাকারিয়ার অ্যাকাউন্টে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা পাঠান তিনি। কথা থাকে, টাকার পরিবর্তে সৌদির মুদ্রা রিয়াল দেবেন জাকারিয়া। কিন্তু, সৌদিতে গিয়ে গিয়ে টালবাহানা শুরু করে জাকারিয়া। সেখানে টাকা না দিয়ে দেশে ফিরে টাকা দেওয়ার কথা জানান। তবে, দেশে ফিরে তিনি আর টাকা দেননি।

বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিকে জানান তরিকুল। তারা জাকারিয়াকে ডাকলে ৯ ডিসেম্বরে টাকা দেওয়ার কথা জানান তিনি। তবে, সেদিনও টাকা দিতে পারেনি জাকারিয়া। বন্ধ করে দেন যোগাযোগ।

একই অভিযোগ করেন বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান খোকা। তিনি জানান, সৌদিতে রিয়াল দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে নগদ আট লাখ টাকা নেন জাকারিয়া। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দেশে ফিরে টাকা দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

এ ছাড়া পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার এছাহাক আলী, আবদুল খালেক, রহমত আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসলিমা বেগম, আলেয়া বেগম, শাহনাজ পারভীন ও নাসিমা বেগমের কাছ থেকে চার লাখ টাকা এবং বরগুনার বামনা উপজেলার বাসিন্দা সোবাহান মাষ্টার, কবির, নজরুল, আজহার উদ্দিন মাস্টার, হালিমা বেগম, ফিরোজা বেগম ও নুরজাহান বেগমের কাছ থেকে ছয় লাখ ৮৯ হাজার টাকা নিয়েছেন জাকারিয়া।

পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ মুবিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে  জাকারিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত।’

তরিকুলের আইনজীবী মিজানুর রহমান মনজু বলেন, ‘আসামিরা ধর্মীয় বিশ্বাস কাজে লাগিয়ে মানুষদের হয়রানি করছে। একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৩৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে’।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম