বাগেরহাটে ওএমএসের ৬০০ বস্তা চাল জব্দ, গ্রেফতার ২
বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা সদরের কেরামত আলী মার্কেটে থাকা ‘মজুমদার ভাণ্ডার’ নামের একটি গোডাউন থেকে ৬০০ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) ফকিরহাট থানা ও খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ যৌথ অভিযান চালিয়ে এই চাল উদ্ধার করে।
এ সময় সরকারি চাল সংরক্ষণ ও বিক্রির চেষ্টার অপরাধে গুদামের অন্যতম মালিক আশাতীত মজুমদার ও কর্মচারী আব্দুর রসূলকে আটক করেছে পুলিশ। জব্দ প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি চাল ছিল, যা ৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকায় কিনেছিলেন গুদাম মালিক।
আটক আশাতীত মজুমদার ফকিরহাট উপজেলার কাথলী গ্রামের প্রফুল্ল মজুমদারের ছেলে এবং ‘মজুমদার ভাণ্ডার’-এর অন্যতম মালিক এবং তাদের কর্মচারী আব্দুর রসূল বারাশিয়া গ্রামের দাবির উদ্দীন ভূইঁয়ার ছেলে। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বগুড়ার করতোয়া চাল কলের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আসিফ এন্টারপ্রাইজ থেকে তারা ৩০ কেজি ওজনের ৬৬৭ বস্তা ওমমএসের চাল ৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকায় কিনেন। বুধবার সকালে সেই চাল গোডাউনে পৌঁছলে বিভিন্ন দোকানে পাইকারি ও খুচরা বিক্রির জন্য নুরজাহান রাইস নামে একটি জনপ্রিয় ব্রান্ডের বস্তায় পরিবর্তনের কাজ শুরু করেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ এসে তাকে ও একজন কর্মচারীকে গ্রেফতার করেন এবং খাদ্য অধিদপ্তরের লোগোযুক্ত সব চাল জব্দ করেন।
ফকিরহাট উপজেলার উপ-খাদ্যপরিদর্শক ইকবাল হোসেন বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে। এই এলাকার প্রত্যেকটি গুদামে তল্লাশি করা হবে। সরকারি চাল মজুত পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেন এই কর্মকর্তা।
ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, রাতে অভিযান চালানোর পর তাৎক্ষণিক চালের বস্তাগুলো জব্দ করা হয়েছে। এই ব্যবসায়ী দুই ধরনের অপরাধ করেছেন। সরকারি চাল আত্মসাৎ ও ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার উদ্দেশ্য ছিল তাদের। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।