Logo
Logo
×

সারাদেশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ রাকিবের অর্থের অভাবে লেখাপড়া বন্ধ

Icon

দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৬ এএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ রাকিবের অর্থের অভাবে লেখাপড়া বন্ধ

গত ৫ আগস্ট সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিব। তার চিকিৎসা করাতে দরিদ্র বাবাকে ঝরাতে হয়েছে বাড়তি ঘাম। গত দুই বছর ধরে রাকিবের লেখাপড়া বন্ধ শুধু অর্থের অভাবে। 

রাকিবের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার খলসী ইউনিয়ানের কান্দাপাড়া গ্রামে। সে জেলার ঘিওরের ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি (ভোকেশনাল) বিভাগের ছাত্র। 

রাকিবের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিন ভাই বোনের মধ্যে রাকিব মেঝ। অর্থের অভাবে তার বড় ভাইকেও লেখাপড়া করাতে পারেনি তার পরিবার। রাকিব লেখাপড়ার পাশাপাশি সাভারে কলকারখানায় কাজ করে সংসার চালায়। ওর বাবাও একটি ডালের মিলের শ্রমিকের কাজ করেন।  

গত ৫ আগস্ট রাকিব তার পরিবারের কাউকে না জানিয়ে তার বন্ধুদের সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়। ওই দিন সকাল ১০টার দিকে তাদের মিছিল কারফিউ ভেঙে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাভার মডেল থানার সামনে গেলে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ রাকিবের মাথায় রাইফেল দিয়ে আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়। তখন তার ‘পায়ে রাইফেল ঠেকিয়ে গুলি করে পুলিশ’। রাকিবকে দ্রুত সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নেয় রাকিব।

সরেজমিনে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে জরাজীর্ণ দুটি ছাপড়া ঘর। তাতেই তাদের যৌথ পরিবারের সবাই একত্রে বাস করে। পরিবারের সবার মুখে দেখা যায় দরিদ্রের মলিন ছাপ। 

রাকিব জানায়, কষ্ট করেই বড় হয়েছি। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য জীবন দিতে পারতাম।

রাকিবের মা বলেন, পুলিশ আমার ছেলের মাথা ফাটিয়েছে, পায়ে গুলি করছে। আমার ছেলে যদি না বাঁচত আমি কী করতাম। আমার ছেলের চিকিৎসা করাতেই অনেক কষ্ট হয়েছে। আমরা গরিব মানুষ। আমি এর বিচার চাই। এর মধ্যে ছেলেকে কীভাবে লেখাপড়া করাব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসানুল আলম যুগান্তরকে জানান, আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার ব্যবস্থা নেই। সেকরম কিছু থাকলে জানাব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম