চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় কৃষক দল নেতাসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার দুপুরে দর্শনায় চিনিকলের ডিস্টিলারি বিভাগের গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

চুয়াডাঙ্গা সেনাবাহিনীর একটি দল ও দর্শনা থানা পুলিশ যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চিনিকলের ডিস্টিলারি বিভাগের গেটের সামনে জেলা কৃষক দলের সদস্য আ. হাতেম বসে ছিলেন। হেলমেট পরা বেশ কয়েকজন এসে তাকে কুপিয়ে চলে যায়। পরে দর্শনার সাবেক সেনাসদস্য সালাম ও একজন যুবদল সমর্থক সাব্বির হোসেনকে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল কেরু চিনিকল এলাকায় অভিযান চালিয়ে যুবদলের দুজনকে আটক করেছে। 

পুলিশ ও আহত ব্যক্তির লোকজন জানান, সোমবার বেলা ১২টার দিকে জেলা কৃষক দলের সদস্য আবুল হাতেম (৪০) চিনিকলের ডিস্টিলারি গেটের সামনে বসে থাকা অবস্থায় বেশ কয়েকজন হেলমেট পরে এসে দা দিয়ে কুপিয়ে চলে যায়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে অপর একটি সশস্ত্র দলের সামনে পড়ে আ. ছালাম (৪৫) ও যুবদল সমর্থক সাব্বির হোসেনকে (৩০) পিটিয়ে আহত করার খবর পাওয়া যায়। 

খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেল) জাকিয়া সুলতানার নেতৃত্বে জেলা থেকে সেনাসদস্যের দুটি গাড়ি, পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স ও দর্শনা থানা পুলিশ চিনিকল এলাকায় অভিযান চালিয়ে যুবদল নেতা মাহাবুল হোসেন (৪২) ও আরুক হোসেনকে (৪০) আটক করেন। 

দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট জানান, দলের মধ্যে বেশ কয়েক দিন ধরে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা ঘটেই চলেছে, সোমবার দুপুরে একই ঘটনার খবর শুনেছি; যা অপ্রত্যাশিত। 

দর্শনা কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাব্বি হাসান জানান, মিল এলাকায় সহিংস ঘটনার জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনীকে জানানো হয়েছে। অভিযান শুরু করেছেন তারা। মিল এলাকায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চুয়াডাঙ্গা সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা ও দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমির জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অভিযান চলছে।