বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক শহিদ আসাদ আমাদের অনুপ্রেরণা। এ অনুপ্রেরণাকে সামনে রেখেই আমরা ৯০-এর আন্দোলন করেছি। ঠিক একইভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে দেশকে পুনরায় স্বাধীন করেছি। ছাত্র-জনতাসহ আমাদের আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছেন। তাই জুলাই-২৪ গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি আন্দোলনের পেছনে শহিদ আসাদের আত্মত্যাগের ভূমিকা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক শহিদ আসাদকে যেভাবে মূল্যায়ন করার কথা ছিল, সেভাবে করা হয়নি। তাই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শহিদ আসাদ দিবস পালনের দাবি জানান তিনি।  

৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক শহিদ আসাদের ৫৬তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আসাদ বেদিতে ফুলের শ্রদ্ধা জানিয়ে খায়রুল কবির খোকন এসব কথা বলেন।

আসাদ বেদিতে ফুলের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দিবসটি উপলক্ষে নরসিংদীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

সোমবার সকাল থেকে শহিদ আসাদের গ্রামের বাড়িতে সমাহিত শহিদ বেদিতে ফুলের শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। পরে শিবপুর সরকারি শহিদ আসাদ কলেজে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে আসাদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, শিবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হারিজ রিকাবদার, সাবেক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ ফকির রনি, ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ। এ সময় তাদের সঙ্গে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে ঘাতকদের বুলেটে শহিদ হন তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান (আসাদ)।