ত্রিপুরায় বাংলাদেশির লাশ, কারণ জানতে চেয়েছেন আদালত
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
ভারতের ত্রিপুরায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের জহুর আলীর (৫৫) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় কারণ জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চুনারুঘাট থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান রোববার বিকালে এ আদেশ দেন।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মৃত জহুর আলীর বাড়ি চুনারুঘাট উপজেলার ঢুলনা গ্রামে। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ৪ জানুয়ারি ৫ দিনের ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি আসেন। পরদিন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই মহকুমার গৌড়নগর এলাকায় তার লাশ উদ্ধার করে সীমান্ত রক্ষী বিএসএফ। পরে বিএসএফ লাশ খোয়াই থানায় হস্তান্তর করলে খোয়াই থানা পুলিশ খোয়াই জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে ৯ জানুয়ারি লাশটি বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে ঘটনা আদালতের নজরে আসে এবং রোববার হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলার আদেশ দেন।
আদালত বলেন, জহুর আলীর মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন, তিনি কিভাবে (জীবিত না মৃত) ভারতে গেলেন সেই বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক ইতোপূর্বে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা এবং যদি কোনো ব্যক্তি জড়িত থাকে তাহলে তার/তাদের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে অপরাধের স্বরূপ উদঘাটন, আসামিদের চিহ্নিতকরণ এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা তা বিস্তারিত তদন্ত করার প্রয়োজন আছে। তাই পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা দ্বারা তদন্ত করে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলো।
ত্রিপুরার খোয়াই থানা পুলিশ লাশ হস্তান্তরের সময় দেওয়া প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলেছে- বাংলাদেশি জহুর আলী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া তার লাঞ্চে ইনফেকশন এবং তিনি নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তবে তার শরীরে সামান্য আঘাত পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও তারা ফেরত লাশের সঙ্গে দিয়েছে। তবে ফাইনাল রিপোর্ট এলেই তার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে বলেও খোয়াই থানা পুলিশ জানিয়েছে।