ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ার্ডবয়দের দাবি করা ৫০০ টাকা না দেওয়ায় রোগীকে হেনস্তা ও অবহেলায় স্বপ্না হালদার (৩২) নামের এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। 

রোববার দুপুরে হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। 

অভিযুক্তরা হলেন— হাসপাতালের কর্মচারী আনোয়ার মোল্লা ও আউটসোর্সিং ২৯ ব্যাচের সুইপার মো. সমেস মিয়া।

নিহত স্বপ্না হালদার ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের বিশোরীকান্দি গ্রামের প্রাণকৃষ্ণ বালার মেয়ে। তিনি পাশের মাদারপুরের রাজৈর উপজেলার খালিয়া গ্রামের রমেন হালদারের স্ত্রী।

নিহতের স্বামী রমেন জানান, শনিবার বিকালে স্বপ্নার বুক ব্যথা হলে রাতে হাসপাতালে ভর্তি করি তাকে। এরপর ডাক্তাররা ভালো চিকিৎসাও দিয়েছেন। রোববার সকালে হাসপাতালের দুজন স্টাফ এসে ৫০০ টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় জোর করে তাকে অন্য একটি বেডে পাঠিয়ে দেন তারা। রোগীকে ওই বেডে নিয়ে ফেলে দিলে তার ক্যানুলা দিয়ে রক্ত উঠে যায়। অক্সিজেনও ঠিকমতো লাগিয়ে দেওয়া হয়নি। ওই সময় স্বপ্না জানায় তার বুকে ব্যথা বেশি হচ্ছে। এর দুই মিনিটের মধ্যে সে মারা যায়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ সময় আমার শ্যালক আকাশ ও তার মামা অভিমান্য বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে; তাদের কলার ধরে হাসপাতালের বাইরে নিয়ে মারধর করে অভিযুক্তরা।

মারধরের শিকার অভিমান্য বলেন, ‘কর্মচারী আনোয়ার ও সমেস মিয়া বলেন, এ বেডে রোগীকে রাখা যাবে না। তখন পাঁচ মিনিট সময় চাইলে, জোর করে ওই রোগীকে অন্য বেডে নিয়ে যান। টাকা না দেওয়ায় তারা আমার গায়ে হাত তোলেন’।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা ওয়ার্ডবয় আনোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করব। স্বজনরা সময় চাওয়ার পরও কেন তাকে বিছানা পরিবর্তন করা হলো; সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে। অন্যায় করে থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।