সাতক্ষীরা সীমান্তের জিরো-পয়েন্টে সার্চলাইট বসিয়েছে বিএসএফ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম
সাতক্ষীরার ভোমরায় লক্ষীদাড়ি সীমান্তে বাংলাদেশের দিকে তাক করে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় সার্চলাইট লাগিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সীমান্তের জিরো-পয়েন্টে বিভিন্ন গাছে এসব লাইট বসানো হয়েছে। সীমান্তের বাসিন্দাদের অভিযোগ, লাইট লাগনোর সময় বাধা দিলেও কর্ণপাত করেনি বিএসএফ। লক্ষীদাড়ি সীমান্তের বিপরীত পাশে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা এলাকা অবস্থিত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি এলাকায় নির্দিষ্ট দূরত্বে গাছে এসব সার্চলাইট বসিয়েছে বিএসএফ। রাতে যার আলো এসে পড়ে বাংলাদেশ সীমান্তে।
স্থানীয় গ্রামবাসী জানান, এর আগে এখানে কোনো লাইট ছিল না। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে এসব লাইট লাগানো হয়। সাতক্ষীরা সীমান্তের লক্ষীদাড়ি গ্রাম বরাবর জিরো পয়েন্টের কাছে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় ২০-২৫ গজ অন্তর ধাপে ধাপে বসানো হয়েছে লাইটগুলো। লাইট বসানোর সময় নিষেধ করলে তাতে কর্ণপাত করেনি বিএসএফ। উল্টো হুমকি দেওয়া হয় গ্রামবাসীদের। রাতে এসব লাইট জ্বালানোর পর তার আলো এসে পড়ে বাংলাদেশের লক্ষীদাড়ি গ্রামের বসতবাড়ির উপর। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত জ্বলে লাইটগুলো। এতে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ সীমান্তের বাসিন্দারা। তাদের প্রশ্ন, ভারতের আলো বাংলাদেশে কেন?
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি বিজিবির সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি এখনই যাচাই করা সম্ভব নয়। যেহেতেু এটি আন্তর্জাতিক সীমানা। কাজেই কনভেশনের বাইরে কারো যাওয়ার সুযোগ নাই। এ কাজটি অনেক আগে থেকেই সীমান্তে চলমান ছিল বলে তিনি জানান।
এদিকে গত ১১ জানুয়ারি শনিবার সাতক্ষীরা সীমান্তের কৃষক নজরুল ইসলাম জমিতে ধান রোপণ করতে গেলে বাধা দেয় বিএসএফ। এ নিয়ে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকেও মেলেনি সমাধান। সীমান্তের জমি নিয়ে বিরোধের এ ঘটনা আগামী ২০ জানুয়ারি দুই দেশের ভূমি কর্মকর্তা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে মাপ-জরিপের মাধ্যমে সমাধান হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।