আজহারীর মাহফিল ঘিরে রেল বিভাগের অতিরিক্ত ১৭ কোচ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম
জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলকে ঘিরে লালমনিরহাটে মুসল্লিদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত ১৭টি শাটল কোচ চালু করেছে রেল বিভাগ। শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেল বিভাগের সহকারী সড়ক পরিবহণ কর্মকর্তা ফারুকুল ইসলাম।
লালমনিরহাটসহ আশপাশের জেলাজুড়ে তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে আনন্দ উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। রাত থেকেই ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন ভক্তরা। তাদের নিরাপত্তায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা টহল দিচ্ছেন।
লালমনিরহাট পৌঁছে জোহরের নামাজ শেষে বয়ান পেশ করার কথা রয়েছে মিজানুর রহমান আজহারীর। মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির অন্যতম সদস্য মো. রেনায়েল আলম রেল বিভাগের অতিরিক্ত এ ট্রেনের নতুন কোচ সুবিধা চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এ ছাড়া রংপুর বিভাগের আট জেলা থেকে শত শত বাস লালমনিরহাট আসার খবর জানা গেছে। লালমনিরহাট জেলা মোটর মালিক সমিতির বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, শনিবার জেলায় আজহারীর মাহফিলকে কেন্দ্র করে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রাক চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
মাহফিলকে ঘিরে শুক্রবার রাতেই মাহফিলের মূল মাঠে কম্বল, চাদর নিয়ে অবস্থান নেন মুসল্লি ও ভক্তরা। দূরদূরান্ত থেকে আসা লোকজন চাদর-কম্বল নিয়ে রাতের কনকনে শীতে মাঠেই রাত্রিযাপন করেছেন। গত রাতেই প্রায় ২ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে মাহফিল ময়দানে। আর সকাল থেকে মানুষের এই চাপ আরও বাড়তে শুরু করেছে।
এই মাহফিলে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে বলে ধারণা করছে আয়োজক কমিটি। মূল প্যান্ডেল ছাড়াও মোট পাঁচটি মাঠ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাহফিল ঘিরে তৎপর লালমনিরহাটের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আনসার, পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীসহ রয়েছে আয়োজকদের স্বেচ্ছাসেবকের বিশাল কর্মী বাহিনী।
ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাট নামের সংগঠনের ব্যানারে মাহফিলটির আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজকরা জনসমাগম বিবেচনা করে দর্শকদের জন্য চারটি মাঠ প্রস্তুত করেছে।
ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাটের আয়োজনে ঐতিহাসিক এ মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।
লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছে আনসার, পুলিশ র্যাবসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আয়োজকদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবে প্রায় পাঁচ হাজার।