ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মেরে গর্ভপাত
যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩২ পিএম
চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তলপেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর স্বামী বাদী হয়ে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন।
বুধবার ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামি হলেন বরগুনা সদর উপজেলা আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা গ্রামের আবদুল আজিজ ফকিরের ছেলে জলিল ফকির (৪৫)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর রনজুয়ারা সিপু।
একই ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের মো. স্বপন ফকির অভিযোগ করেন, তিনি স্থানীয় বৈকালীন বাজারে দোকানদারি করেন। আসামি জলিল ফকির তার বড় চাচাতো ভাই হলেও কারণে অকারণে তাদের বাড়ি আসে। তার স্ত্রীকে খারাপ প্রস্তাব দেয়। বাদী যখন দোকানে থাকে ওই ফাঁকে জলিল তার স্ত্রীর কাছে যায়। বাদী তার বড় ভাই জলিলকে তাদের বাড়ি যেতে নিষেধ করা সত্ত্বেও বারবার যায়। এ বিষয় নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। জলিল প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ওঠে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পরে বাদী বৈকালীন বাজারে দোকানে ছিল। এই ফাঁকে জলিল ফকির ঘরে ঢুকে বাদীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায়। বাদীর স্ত্রী বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে জলিল ফকির ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে বাদীর স্ত্রীর তলপেটে জোরে লাথি দেয়। লাথির আঘাতে বাদীর স্ত্রীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। আঘাতের ফলে বাচ্চা ধারণের টিউব ফেটে রক্ত জমাট হয়।
বাদী বলেন, আসামি আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করতে না পেরে আমার স্ত্রীকে খুন করতে তার তলপেটে লাথি মারে। লাথির আঘাতে আমার স্ত্রীর গর্ভে দুই মাসের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।
জলিলের ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, কোর্টের আদেশ এখনো পাইনি। আদেশ পেলে আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।