Logo
Logo
×

সারাদেশ

সিদ্ধিরগঞ্জে ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

Icon

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৯ পিএম

সিদ্ধিরগঞ্জে ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কোন (সুতা পেঁচানোর কাগজের তৈরি বস্তু) প্রস্তুতকারী কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সকাল ৭টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বউবাজার শান্তিনগর এলাকায় ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জনৈক নূর আলমের মালিকানাধীন কোন তৈরির এ কারখানায় লাগা আগুন পরবর্তীতে পাশের চারটি গার্মেন্ট ওয়েস্টেজের গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগুন লাগার খবর পেয়ে মন্ডলপাড়া ও হাজিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে শুরুর দিকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় দ্রুত পানি ফুরিয়ে গেলে আগুন নিয়ন্ত্রণ বিঘ্নিত হয় বলে স্থানীয়রা জানান। আগুনের তীব্রতা দেখে ফায়ার সার্ভিসের আরও পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। 

একপর্যায়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও নামে। এ সময় তারা বিভিন্নভাবে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে থাকে। 

শরীফ হোসেন নামে এক স্বেচ্ছাসেবক জানান, সকাল ৭টার দিকে নূর আলমের মালিকানাধীন কারাখানাটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সেটি পাশের গার্মেন্ট ওয়েস্টেজের চারটি গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে কারখানা ও গোডাউনগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তবে আগুন লাগার শুরুর দিকে কোনো কোনো কারখানার কিছু মালামাল অক্ষত উদ্ধার করা হয়। 

আলমগীর নামে ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ী জানান, গোডাউনে গার্মেন্ট ওয়েস্টেজ এলডি পলিথিন ছিল। আগুনে সব পুড়ে গেছে। গোডাউনে তার পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ছিল বলে দাবি করেন এই ব্যাবসায়ী। এছাড়া মুসলিম, বাবুল, হাশেম নামে আরও তিনজন ব্যবসায়ীর তিনটি ওয়েস্টেজ গোডাউন আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলে জানা যায়। তবে তাদের সঙ্গে কথা না হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণটি জানা সম্ভব হয়নি। 

এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে গিয়ে স্থানীয় দুজন স্বেচ্ছাসেবী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে একজনের নাম জিহাদ। অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়ায় তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আমরা সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাই। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাজীগঞ্জ ও মন্ডলপাড়া ফায়ার স্টেশন থেকে ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠাই। ঘটনাস্থলে এসে আমরা দেখেছি, রেজিন, প্যাকিংবক্স, কুনিং এবং ক্যামিকেলসহ বিভিন্ন উপাদান এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ছিল। 

তিনি বলেন, সেই সঙ্গে আগুনের ভয়াবহতা ছিল অনেক। আমাদের ছয়টা ইউনিট দ্রুত আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করেছি। শুরুতে পানির অনেক সংকট ছিল। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বিভিন্নভাবে পানির ব্যবস্থা করে সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। 

তিনি বলেন, স্থানীয়রা আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন। যার ফলে আশপাশে বাড়ি ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে আমরা রক্ষা করতে পেরেছি। কয়টি প্রতিষ্ঠানে আগুন লেগেছে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা জানান, এখনো পর্যন্ত আমরা সেটি নিশ্চিত হতে পারিনি। সেই সঙ্গে আগুনের সূত্রপাতের বিষয়টিও প্রাথমিক অবস্থায় তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানানো যাবে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম