শরীয়তপুরে ওরশকে কেন্দ্র করে সুরেশ্বরের মুরিদ আব্দুল আলী চৌকিদার ও খেলাফত মজলিসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। 

বুধবার সকালে সদর উপজেলার প্রেমতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। 

সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট খেলাফত মজলিসের মুসল্লিদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান এবং অসামাজিক বা অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধের আশ্বাস দেন। 

এরপর মুসল্লিরা ম্যাজিস্ট্রেটের কথায় আশ্বস্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যান। তবে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। 

স্থানীয়রা জানায়, ৩০ বছর ধরে আবদুল আলীর বাড়িতে ওরশের আয়োজন হয়। চলতি বছরে ১৭ থেকে ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। সে অনুযায়ী ভক্তরা গত এক সপ্তাহ ধরে আয়োজনের কাজ করছিলেন। স্থানীয় খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ওরশের নামে ইসলামবিরোধী অসামাজিক কার্যকলাপ হয়। তাই উৎসব বা মেলা করতে দেওয়া হবে না। এতে খেলাফত মজলিস ও আব্দুল আলী ভক্তদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ সকালে দুইপক্ষ মারমুখী হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের পক্ষ থেকে প্রশাসনে খবর দেওয়া হয়।

আবদুল আলী চৌকিদার বলেন, ‘৩০ বছর ধরে আমরা এখানে ওরশ ও মেলা করে আসছি। হঠাৎ করে কিছু লোকজন মাইকিং করে গালিগালাজ করে, আমাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করার হুমকি দেয়। এটা শুনে আমাদের লোকজন নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে’। 

পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, আইন শৃঙ্খলা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা এখানে উপস্থিত থাকব।

ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, জেলা প্রশাসন যেহেতু কোনো অনুমতি দেয়নি। এখানে ওরশ করতে দেওয়া হবে না।