Logo
Logo
×

সারাদেশ

সড়ক নির্মাণে দুর্নীতি, প্রকৌশলী-ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Icon

গোপালগঞ্জ ও কাশিয়ানী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম

সড়ক নির্মাণে দুর্নীতি, প্রকৌশলী-ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

গোপালগঞ্জে জেলা পরিষদের সড়ক (অ্যাপ্রোচ) নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী আনিচুর রহমান ও মেসার্স হাবীব অ্যান্ড কোং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হাবিবুর রহমান।

মামলার নথি পাঠানো হয়েছে বিশেষ জেলা জজ আদালতে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। 

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের মাইজকান্দি থেকে আড়ুয়াকান্দী গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এইচবিবি সড়ক ও  খালের ওপর তিনটি ব্রিজ নির্মাণ কাজ হাতে নেয় গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ। প্রতিটি ব্রিজে ১২ মিটার করে সংযোগ সড়ক থাকার কথা থাকলেও ব্রিজটির সংযোগ সড়ক না করে প্রকল্প থেকে ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন প্রকল্পের প্রকৌশলী ও ঠিকাদার। ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় ৯ বছর ধরে জনগণ সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। 

এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমলে নিয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান করে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন। পরে এ বিষয়ের সত্যতা যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর জেলা পরিষদ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যায়। সোমবার সকালে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন সহকারী পরিচালক বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী আনিচুর রহমান ও ঠিকাদার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। 

জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, কিছুদিন আগে আমরা সরেজমিন গিয়েছিলাম। তার দুই দিন পর প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করার পর কমিশনের অনুমতিক্রমে তাদের বিরুদ্ধে জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার নথিপত্র জেলা বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম