Logo
Logo
×

সারাদেশ

তনুশ্রী হত্যায় স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেফতার, ফাঁসির দাবি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম

তনুশ্রী হত্যায় স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেফতার, ফাঁসির দাবি

মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী তনুশ্রী হত্যার ঘটনায় স্বামী অতনু বিশ্বাস, শ্বশুর অটল বিশ্বাস ও শাশুড়ি আরতি বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তনুশ্রী হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান শেষে মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করেন শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শেষে শিক্ষার্থীরা তুনশ্রী রায় হত্যায় সাত দফা বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে ও একটি স্মারকলিপি দেন পুলিশ সুপারকে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ের তিন মাসের মধ্যে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের গালমন্দ ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কলেজছাত্রী তনুশ্রী রায় (২১) আত্মহত্যা করেন। মৃতের পরিবারের দাবি বিয়ের পর থেকে মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বনগ্রাম এলাকায় স্বামীর বাসভবন এবি ভিলা থেকে তনুশ্রীর লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।

মানিকগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চৈল্লা গ্রামের দীনবন্ধু রায়ের ছোট মেয়ে তনুশ্রী রায়ের সঙ্গে পৌর এলাকার বনগ্রাম এলাকার অটল বিশ্বাসের ছেলে অতনু বিশ্বাস (৩০) সঙ্গে গত বছরের ৩ অক্টোবর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানান বিষয় নিয়ে তার মেয়ে তনুশ্রী রায়ের সঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালাগালিজসহ প্রতিনিয়ত মানসিক নির্যাতন চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

নিহতের বাবা দীনবন্ধু রায় বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ ওই মামলায়  নিহতের স্বামী অতনু বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এসএম আমান উল্লাহ জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনার নিহতের বাবা দীনবন্ধু রায়ের দায়ের করায় মামলায় নিহতের স্বামী অতনু বিশ্বাসের পর শনিবার রাতে নিহতের শ্বশুর অটল বিশ্বাস ও শাশুড়ি আরতি বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম