অগ্রাধিকার না থাকায় হয়নি বগুড়া বিমানবন্দর: বিমানবাহিনী প্রধান
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৪ পিএম
বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাহমুদ হাসান খাঁন বলেছেন, বগুড়া বিমানবন্দর খুবই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় আগের সরকারকে অনেকবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তখনকার সরকারের এটি অগ্রাধিকার ছিল না। রানওয়ে পরিদর্শন করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বোর্ড গঠন করে আমরা নতুন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রস্তাব দেব। ফান্ড পেলে স্বল্প পরিসরে বগুড়া বিমানবন্দর চালু করতে পারব।
তিনি রোববার সকালে বগুড়া বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। এ সময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া, বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা, পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, রানওয়ে বৃদ্ধিসহ সব কার্যক্রম শেষ করতে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে। অন্যথায় পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, বগুড়া বিমানবন্দর চালু করতে প্রয়োজন সর্বনিম্ন ছয় হাজার ফুট রানওয়ের। বর্তমানে আছে চার হাজার ৭০০ ফুট। আর গুরুত্বপূর্ণ বগুড়া বিমানবন্দর চালু হলে অর্থনৈতিক পরিসর আরও সমৃদ্ধ হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ১৯৮৭ সালে তৎকালীন সরকার বগুড়া বিমানবন্দর স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। নানা জটিলতায় সে উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি। এরপর ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে বিএনপি সরকারের শেষ দিকে বগুড়া বিমানবন্দর স্থাপনে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন ২২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন লাভ করে। সরকার ১৯৯৫ সালে সদর বগুড়া উপজেলার এরুলিয়া এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ সড়কের পাশে ১০৯.৮১ একর জমি অধিগ্রহণ করে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই প্রকল্পের আওতায় রানওয়ে, কার্যালয় ভবন, কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন নির্মাণ, বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ, রাস্তা নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করে। এখানে ৬০০ ফুট প্রস্থ ও পাঁচ হাজার ফুট লম্বা রানওয়ে নির্মাণ করা হয়। ২০০০ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও এখানে বাণিজ্যিকভাবে বিমান চলাচল কার্যক্রম শুরু হয়নি।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর বগুড়া বিমানবন্দর বাণিজ্যিকভাবে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বগুড়া বিমানবন্দর বিমানবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিমানবাহিনী সেখানে রাডার স্টেশন স্থাপন করে সামরিক বিমান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করে। এতে বগুড়া বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের পথ বন্ধ হয়ে যায়।