Logo
Logo
×

সারাদেশ

যুবদল নেতার বিরুদ্ধে যুবককে মেরে ২ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

Icon

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৪ পিএম

যুবদল নেতার বিরুদ্ধে যুবককে মেরে ২ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

নওগাঁর রাণীনগরে চাঁদার দাবিতে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামে প্রবাস ফেরত এক যুবককে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন যুবদলের এক নেতা ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে।

চাঁদার দাবিকৃত টাকার মধ্যে দুই লাখ টাকা দেওয়ার পর আলমগীরকে ফেরত পেয়েছে পরিবার। তার পরিবারের অভিযোগ, উপজেলার একডালা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক ইমরানের (৩২) নেতৃত্বে আলমগীরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে একটি শ্বশানঘাটে তাকে ব্যাপক মারধর ও নির্যাতন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার উপজেলার করজগ্রাম-মাধাইমুড়ি শ্বশানঘাটে এ ঘটনাটি ঘটে। মারধর ও নির্যাতনের শিকার আলমগীর হোসেন গুরুত্বর আহত অবস্থায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আহত আলমগীর উপজেলার চকারপুকুর বিষঘরিয়া গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আলমগীরের বাবা মোজাহার বাদি হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইমরানসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে রাণীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মারধর ও নির্যাতনের শিকার আলমগীর হোসেন জানান, দুই মাস হবে আমি বিদেশ থেকে বাড়িতে এসেছি। আসার পর মোশারফ ভাইয়ের সঙ্গে মাঝে মাঝে চলাফেরা করি। আমি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত না। তারপরও তারা আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে চকারপুকুর গ্রামের ইমরান, কয়াপাড়ার বাদশা, কসবার ডলার ও নিলাম্বরপুরের শাহজাহানসহ প্রায় ২০-৩০ জন মোটরসাইকেলযোগে আমার বাড়িতে এসে অফিসে কথা হবে বলে তুলে নিয়ে যায়। 

তিনি আরও বলেন, প্রথমে তারা আমাকে আবাদপুকুর বাজারে একটি স্কুলের পুকুরপাড়ে নিয়ে গিয়ে মারধর শুরু করে। সেখানে লোকজন জড়ো হতে থাকলে হরিপুর পৈদীঘি নামক শ্বশানঘাটে নিয়ে যায়। এরপর করজগ্রাম-মাধাইমুড়ি শ্বশানঘাটে নিয়ে যান। সেখানে শুরু হয় আমার উপর মারধর ও নির্যাতন। তারা আমাকে গোপন স্থানসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে মারধর করে রক্তাক্ত করেছে। এরপর বাধ্য হয়ে বাড়িতে জানালে বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে আসলে আমি রক্ষা পাই। এরমধ্যে তারা আমার কাছ থেকে সাদা চারটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়েছে।

ভুক্তভোগীর বাবা মোজাহার আলী বলেন, চাঁদা দিতে না চাইলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারপিট করবে, এটা কেমন কথা। তাও আবার নির্ঝণ এলাকা শ্বশানঘাটে। চাঁদার দুই লাখ টাকা না দিলে, তারা হয়তো আমার ছেলেকে মেরেই ফেলতো। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে রাণীনগর থানায় অভিযোগ দিয়েছি। মারধর ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সব অভিযোগ অস্বীকার করে একডালা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক ইমরান বলেন, আমি কিছুই জানিনা। তারা যে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। শত্রুতার জেরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ একজন আরেকজনের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।

এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীর বাবা থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম