‘ভারতকে বিশ্বাস করা যাবে না, বর্ষাকালে পানি ধরে রাখতে হবে’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, নদীর ব্যাপারে ভারত অবিশ্বস্ত বন্ধু। ভারতে নদীর ব্যাপারে বিশ্বাস রাখা যাবে না। তাই বাংলাদেশের পানির ব্যাপারে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। এজন্য বর্ষাকালে পানি ধরে রাখতে হবে। ভারতের ওপর ভরসা করে থাকা যাবে না।
শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর কাশিনগর নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা বিষয়ক সংগঠন ‘তরী’ আয়োজিত নদী সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ড. মনজুর বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পানি ভারত তার পশ্চিমাঞ্চলের ট্রান্সফার করতে চায়, যেটি বাংলাদেশের জন্য সমূহ বিপদ। ভারত থেকে যেসব নদীর শাখা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে সেগুলোর মধ্যে ব্যাপক পরিমাণ পানি বঙ্গোপসাগরে জমে। বর্ষাকালে ১ লাখ ৪০ হাজার কিউবেক পানি এসব নদী দিয়ে বয়ে যায়। কিন্তু গ্রীষ্মকালে পানি আসে মাত্র ৫%। ভারত জিওপলিটিক্সের অস্ত্র হিসেবে পানিকে ব্যবহার করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রীষ্মকালে ভারত তো দেয়ই না, উলটো গঙ্গার পানি তারা নিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া নদী সীমান্তে ভারতে কমপক্ষে ৫০টি ড্যাম অথবা বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পানি যখন বেশি দরকার তখন কম দেয়, যখন কম দরকার তখন বেশি পানি দিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করে। সিলেট এবং ফেনীর বন্যা সেগুলোর প্রমাণ।
নদী সম্মিলনে তরীর আহবায়ক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ও লেখক আমিন আল রশীদ, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনির হোসেন ও বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট একিউএম সোহেল রানা।