চাঁদা না দেওয়ায় প্রকাশ্যে দোকানিকে গুলি
যুগান্তর প্রতিবেদন, ঢাকা উত্তর
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩২ এএম
ছবি: সংগৃহীত
সাভারের আশুলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় প্রকাশ্যে সৈনিক ইসলাম নামের এক চা দোকানিকে গুলি করেছে সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে আশুলিয়ার গোরাটের ফুলবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত সৈনিক ইসলাম
নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার লাউতলা গ্রামে মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। গোরাট এলাকায়
বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। চায়ের দোকান করেই তার জীবিকা চলছে।
গুলিবিদ্ধ সৈনিক
ইসলাম শাহীন অভিযোগ করে বলেন, আমি ডেবনিয়ার গার্মেন্টসের সামনে ফুটপাতে আমার মাকে নিয়ে
দোকানদারি করি। আমার কাছে এর আগে আশিক, সজিব, তৈয়ব ও পারভেজ চাঁদা দাবি করে আসছিল।
এতে রাজি হইনি। পরে মালামাল আনার জন্য ফুলবাগান এলাকায় গেলে তারা একা পেয়ে ধাওয়া দেয়।
পরে আমি দৌঁড় দিলে তৈয়ব আমাকে টার্গেট করে পরপর ৩টি গুলি করে। ২টি গুলিতে সামান্য আহত
হলেও তৃতীয় গুলি আমার পায়ে বিদ্ধ হলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি।
গুলিবিদ্ধের মা
নাজমা বেগম জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন পোশাক কারখানার সামনের প্রত্যেক দোকান
থেকে প্রতিদিন ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে। চাঁদা না দিলে দোকানদারদের বেদম মারধর করে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সৈনিক ইসলাম চায়ের দোকানে চা বিক্রি করছিল। চাঁদাবাজরা প্রতিদিনের
মতো সৈনিক ইসলামের কাছে ৫০ টাকা চাঁদা চাইলে সে টাকা দিতে অস্বীকার করে। এতে সন্ত্রাসীরা
ক্ষিপ্ত হয়। পরে আমার ছেলে ফুলবাগান এলাকায় সিগারেট আনার জন্য গেলে। তারা তাকে ধাওয়া
দেয়। একপর্যায়ে সে ছুটে দৌঁড় দিলে তৈয়ব নামের এক সন্ত্রাসী তাকে পিছন থেকে পর পর
তিটি গুলি করে।
এ গুলিতে সৈনিক
ইসলামের বাম পা গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
পরে স্থানীয়রা থানায় সংবাদ দিলে আশুলিয়া থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নারী শিশু হাসপাতালে
ভর্তি করেন।
এব্যাপারে নারী
শিশু হাসপাতলের কর্তব্যরত চিকিৎসক যুগান্তরকে জানান, গুলিবিদ্ধ সৈনিক ইসলামকে প্রাথমিক
চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার শরীরের গুলি বের করার জন্য তাকে ঢাকার হাসপাতালে রেফার
করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার
ওসি তদন্ত কামাল হোসেন জানান, গুলিবিদ্ধ চা দোকানের সৈনিক ইসলামকে আশুলিয়ার নারী ও
শিশু হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে তিনি পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় এখনও সন্ত্রাসীকে
গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুলিশি
অভিযান চলছে।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।