শেখ রেহানা, জয় ও পুতুলসহ ২৬৮ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০২ এএম

ছবি: সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মো. আলহাজ (১৮) নামে এক শ্রমিককে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, ছেলে-মেয়ে, সাবেক মন্ত্রী ও নেতাকর্মীসহ ২৬৮ জনের নামে একটি মামলা করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ইডেন কলেজ মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিভা, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান শাওন ও ঢাকা দক্ষিণ মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পীসহ ২৬৮ জনের নামে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ মামলা করা হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। মামলার বাদী মো. আলহাজ (১৮) সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার সয়াসেখ এলাকার বাসিন্দা শাহিদের ছেলে এবং বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় বসবাস করেন। মামলায় আরও ২০০-৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ২০ জুলাই বিকাল ৫টার দিকে মামলার বাদী মো. আলহাজ বাড়ি ফেরার পথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মিছিল দেখতে পেয়ে মিছিলে যুক্ত হন।
এর পরপরই মামলার আসামিরা সশস্ত্র অবস্থায় মিছিলে হামলা চালায়। হামলায় তারা আগ্নেয়াস্ত্র, শর্টগান, পিস্তল, ককটেল, লাঠি, ইট-পাটকেল এবং ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে।
হামলাকারীদের গুলিতে বাদীর পেটের ডান পাশে গুলি লাগে এবং তিনি গুরুতর আহত হন। হামলার সময় আরও ১০-২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা বাদীকে সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল নিয়ে যান।
বাদী দাবি করেন, আসামিরা হাসপাতালগুলোতে আহতদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে খোঁজাখুঁজি করে এবং বাদীসহ অন্যদের হুমকি দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। পরে তিনি নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহণ করেন। চিকিৎসা শেষে বাদী মামলা করতে গেলে থানায় মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আদালতে মামলা করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসান ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা মঙ্গলবার গভীর রাতে থানায় মামলা নিয়েছি।