ফিজাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখে স্বামী, ৫ দিন পর অভিযোগ নিল পুলিশ

ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৮ পিএম

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার ঘটনার ৫ দিন পর থানায় অভিযোগ নিয়েছে পুলিশ। এতে স্বামীসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা করে নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলী।
মামলায় উল্লেখ করা হয়— শ্বশুর মনির হোসেন মনু, শ্বাশুড়ি আকলিমা বেগম, ননদ মুন্নী, চাচাতো ভাই তোফাজ্জল হোসেন ও তার বড় ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী চুন্নুর ইন্ধনে ফিজাকে হত্যা করে তার স্বামী মুন্না। হত্যার পর লাশ জানালার সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা গেছে। এতে ফিজাকে হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি জানান, এর আগে ২ জানুয়ারি রাতে ফতুল্লার লামাপাড়া নয়া মাটি এলাকার শশুর বাড়ির জানালার গ্রিল থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি লামিয়া আক্তার ফিজার (২১)। এ সময় ফিজার স্বামী আসাদুজ্জামান মুন্না ও তার বাবা মনির হোসেন মনুসহ পরিবারের সবাই আত্মগোপন ছিলেন। ফলে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে রহস্যের সৃষ্টি হয়।
ফিজার বাবা জানায়, আগে থেকেই ফিজার সঙ্গে তার স্বামী মুন্না ও তার পরিবারের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। এতে ফিজাকে একাধিকবার মারধরও করেছে মুন্না।
এ ঘটনায় তোফাজ্জল হোসেন নামে একজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।