বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা তৈমূর আলমের ভাই হত্যা মামলায় খালাস ৮
ফতুল্লা(নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম
ফতুল্লায় আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় আটজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। নিহত সাব্বির বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকারের ভাই ছিলেন।
মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতে বিচারক মমিনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
এতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খাঁনসহ ৮ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায় শুনে জাকির খাঁনকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান অবরোধ করে আদালত প্রাঙ্গণে আনন্দ উল্লাস করেন অন্তত এক হাজার নেতাকর্মী। নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। পরে পুলিশের অনুরোধে অবরোধ ছেড়ে দেয় কর্মী সমর্থকরা।
এছাড়া রায়ে খালাস পেয়েছেন নাজির, মোক্তার হোসেন, জিতু, মামুন খান, আব্দুল আজিজ বাচ্চু, বন্ধুক শাহীন ও জঙ্গল লিটন। এদের মধ্যে নাজির ও মোক্তার হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিদের মধ্যে জিতু, মামুন খান, আব্দুল আজিজ বাচ্চু, শাহীন ও জঙ্গল লিটন পলাতক রয়েছেন। পলাতকদের মধ্যে শাহীন পুলিশের সঙ্গে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রাজিব মন্ডল জানান, ‘আমরা প্রমাণ করেছি সাব্বির আলম খন্দকার হত্যাকান্ডে জাকির খাঁনসহ আটজনের কেউ জড়িত নয়। এ হত্যাকান্ডের সময় জাকির খাঁন দেশের বাহিরে ছিলেন। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে রায় ঘোষণা করেছেন। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। জাকির খানের মুক্তিতে এখন কোন বাধা নেই’।
এ মামলার বাদী সাব্বির আলম খন্দরকারের বড় ভাই জেলা বিএনপির সাবেক বহিস্কৃত সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি বলেন, ‘আমার মেঝো ভাই সাব্বির আলম খন্দকার ছিলেন গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার অ্যান্ড ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রতিষ্ঠাকালিন পরিচালক ও সাবেক সহ-সভাপতি। শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খাঁনের অপকর্মের প্রতিবাদ করাতেই সাব্বিরকে ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয়। আমি ভাই হত্যার ন্যায় বিচার পাইনি। দেশের পরিস্থিতি ভালো হলে উচ্চ আদালতে আপিলের সিদ্ধান্ত নিবো’।