লক্ষ্মীপুরের রায়পুরসহ পাঁচটি উপজেলায় শীতকালীন ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ বেড়েছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলায় ৫৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি।

সরেজমিন রায়পুর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মোট শয্যা ১০টি। তবে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি ছিল ১৮ জন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গাদাগাদি করে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে। শয্যা না পেয়ে রোগীদের জন্য মেঝেতে বিছানা পাতা হয়েছে।

সদর হাসপাতালের শয্যায় শিশু মাহিমের পাশে বসে রয়েছেন মা কাকলি বেগম। তিনি জানান, কয়েক দিন ধরে ছেলের ঠান্ডা, কাশি ও জ্বর। সঙ্গে ডায়রিয়া। প্রথম দিন বাসায় থেকে চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু অসুখ বেড়ে যাওয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।

শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ভাইরাসের বংশবৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ, দূষিত পানি ও খাবার গ্রহণের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডের আরেক রোগী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সোমবার পাতলা পায়খানা ও বমি হওয়ায় এখানে ভর্তি অইছি (হয়েছি)। চিকিৎসকেরা খাবার স্যালাইন ও অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াইছে। এখন কিছুডা বালার (ভালোর) দিকে।’

রায়পুর সরকারি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ও শিশু ডাক্তার মামুনুর রশীদ পলাশ বলেন, ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শীতের কারণে মূলত এটি হচ্ছে। একই সঙ্গে ঠান্ডা ও জ্বরের রোগী বেড়েছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে অনেক ডায়রিয়ার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানান তিনি।

লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৭ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ২৩ জন, সদর উপজেলায় ৭ জন, রায়পুরে ৮ জন, রামগঞ্জে ৬ জন, কমলনগরে ৭ জন ও রামগতিতে ১০ জন। গত এক সপ্তাহে জেলায় ১৮৮ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি।