ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ মামুনুর রহমান মামুন (২১) নামে এক শিক্ষার্থীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। এতে মাথায় কোপ লেগে গুরুতর আহত হন তিনি। এ ঘটনায় রাকিবুল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

ছাত্র আন্দোলনে আহত মামুন উপজেলার হতরপাড়া গ্রামের মৃত আন্নেছ আলীর ছেলে। 

সোমবার দুপুরে এ হামলার প্রতিবাদে ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মুক্তাগাছা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক ডা. আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রিফাত, জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা লিখন মিয়া, হারুন অর রশিদ, ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবের সূর্য সন্তান মামুনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি করছি।

জানা গেছে, পারিবারিক বিরোধের জেরে রোববার রাত ৯টার দিকে মামুন হতরপাড়া সাজুর চা দোকানের সামনে আসলে রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একদল সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় মাথায় কোপ লেগে মামুন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহত মামুনকে উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মুক্তাগাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন আহত মামুনের ভাই আল-আমিন।

গ্রেফতার রাকিবুল ইসলামের পরিবারের লোকজনের দাবি, এলাকার জয়নাল আবেদিনের থেকে ঘোগা ইউনিয়নের খাগরজানা মৌজায় ৩ বছর ৬ মাসের জন্য ২২৮ শতাংশ জমি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় লিজ নিয়ে কলা চাষ করেন রাকিবুল। কিন্তু গাছের কলা কাটতে বাধা দেয় এবং বাগান দখলে নিতে চায় মামুনরা। এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি ভিন্নখাতে নিয়ে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই পুলিশ রাকিবুলকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে। আল্লাহ এর বিচার করবে।

মুক্তাগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন জানায়, মামুনের হামলার ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।