পাখির গানে মানুষের ঘুম ভাঙে যেখানে

মো. আবু তাহের, দাগনভূঞা (ফেনী)
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১১ পিএম

সুদূর সাইবেরিয়া থেকে শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে পাখির অভয়ারণ্য ঘটে দাগনভূঞার জায়লস্কর ইউনিয়নের আলমপুরের আজরাইল দীঘিতে। পাখির এ দৃষ্টিনন্দন মেলায় প্রতিনিয়ত পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে।
অগণিত অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর এ গ্রামের হাজেরা-খাঁ দীঘি; যা স্থানীয়ভাবে আজরাইল দীঘি বলেই পরিচিত। প্রতিদিন পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙছে এলাকাবাসীর।
পাখির এ কলতান উপভোগ করতে সকাল-বিকাল ভিড় করছেন পাখিপ্রেমীরা। আবার নিষ্ঠুর পাখি শিকারিরাও বসে নাই। প্রকৃতির পাখির অভয়ারণ্যে ওতপেতে বসে থেকে ফাঁদ পাতে পাখি শিকার করে তারা। ক্রমে ক্রমে এক সময় হয়তো এ পাখির অভয়ারণ্যে পাখির মেলায় শূন্যতা দেখা দিতে পারে এ আশঙ্কাও আছে।
দীঘিরপাড়ের বাসিন্দারা বলেন, সকালে তাদের ঘুম ভাঙে পাখির গুঞ্জনে। দীঘিতে আশ্রয় নেওয়া পাখিগুলো নির্বিঘ্নে ছোটাছুটি করলেও কেউ এগুলো ঢিল ছুড়ে বিরক্ত করে না। কোনো শিকারি অসৎ উদ্দেশ্যে জলাশয়ের কাছেও আসে না।
পাখি দেখতে আসা মোজাম্মেল হক হাছান বলেন, লোকমুখে অতিথি পাখির কথা শুনে দেখতে এলাম। এখানে এসে আমি মুগ্ধ। পাখির গুঞ্জনে পরিবেশটা ভালো লাগছে।
স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী কামাল উদ্দিন খন্দকার বলেন, এ দীঘিতে প্রতিবছরের মতো এ বছরও শত শত পাখি এসেছে। আগত এসব অতিথি পাখির অভয়ারণ্যে যাতে কোনো প্রকার সমস্যা না হয়, সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি। প্রতিদিন অনেক মানুষ এখানে পাখি দেখতে আসেন। তিনি আরও বলেন, এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে হাজেরা-খাঁ দীঘিতে একবার ঘুরে এলে পাখিদের কলকাকলিতে মুগ্ধ হবেন সবাই।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) দাগনভূঞা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কাজী ইফতেখার বলেন, পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা গেলে এবং এসব পাখির নিরাপত্তা দেওয়া গেলে এরা হয়তো নিয়মিত আসবে। একই সঙ্গে পাখির বিচরণের জন্য বিল-জলাশয় ভরাট থেকেও আমাদের বিরত থাকতে হবে।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স. ম. আজহারুল ইসলাম বলেন, কারো বিরুদ্ধে পাখি শিকারের অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।