ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আ.লীগ নেতা গ্রেফতার

জাভেদ মোস্তফা, যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সাভারের হেমায়েতপুরে ব্যবসায়ীকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মোশাররফ হোসেন মুসা নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশ। আওয়ামী লীগের নেতা হলে মোশাররফ নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছিলেন। এ ঘটনায় তার ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আজ রবিবার সকালে মোশাররফকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা উত্তর
গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) জালাল উদ্দীন।
গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে
অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা
হয়।
গ্রেফতারকৃত
মোশাররফ হোসেন বিগত সরকারের আমলে
ঢাকা জেলার আন্তঃজেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ছিলেন। কিন্তু
গত ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের
পর তিনি নিজেকে বিএনপি
নেতা বলে দাবি করে
আসছিলেন। তবে তার কোন
পদ-পদবী তথ্য পাওয়া
যায়নি।
মোশাররফ
সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার মৃত শাহজাহান ব্যাপারীর
ছেলে। এ মামলার অন্যান্য
আসামিরা হলেন, মোশাররফ হোসেনের গাড়ি চালক মো.
লিটন (৩০), একই এলাকার
মৃত শাহজাহান ব্যাপারীর ছেলে মো. রাকিব
হোসেন (৩০) ও মো.
সজল (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা
আরও ৮/১০ জন।
ভুক্তভোগী
ব্যবসায়ী রমজান মিয়া সাভারের হেমায়েতপুরের
মৃত হোসেন আলী খাঁনের ছেলে।
তিনি গ্লোব কোম্পানির পরিবেশক হিসাবে ব্যবসা করে আসছেন।
ডিবি
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী মো. রমজান মিয়া
সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় মোরছালিন ভ্যারাইটিস স্টোর নামে একটি ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করে
আসছিলেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ
মোশাররফ হোসেন ও তার বাহিনী
২ লাখ টাকা চাঁদা
দাবি করে আসছিল।
দাবিকৃত
চাঁদা না দিলে গত
৩১ ডিসেম্বর রাত ১০ টার
দিকে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
থেকে রমজানকে মোশাররফের অফিসে তুলে নিয়ে যায়
তার বাহিনী। পরে দাবিকৃত চাঁদা
চেয়ে বেধড়ক মারধর করে। এসময় রমজানের
পকেটে থাকা ব্যবসার ১
লাখ টাকা ও একটি
মোবাইল ছিনিয়ে নেয় মোশাররফ।
বাকি
১ লাখ টাকার জন্য
হেমায়েতপুরের গ্রীন সিটি সংলগ্ন মোশাররফ
হোসেনের ব্যক্তিগত অফিসের পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির
সঙ্গে বেঁধে রাত চারটা পর্যন্ত
লোহার রড ও কাঠের
লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ব্যাপক
আহত করে। পরে মোশাররফ
তার হাতে থাকা অস্ত্র
বের করে ওই ব্যবসায়ীর
পাশে গুলি করে। পরে
হেমায়েতপুর ভাঙা ব্রিজের পাশে
রমজানকে ফেলে চলে যায়।
এঘটনায়
স্থানীয়দের সহায়তায় তার ভাই রমজানকে
হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে মোশাররফসহ ৪
জনের নাম উল্লেখ করে
অজ্ঞাত আরও ৮/১০
জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী রমজান।
মামলা দায়েরের অভিযান পরিচালনা করে বিএনপি নেতা
দাবি করা মোশাররফকে গ্রেপ্তার
করে ঢাকা জেলা উত্তর
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঢাকা
জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (ওসি) জালাল উদ্দিন
বলেন, মোশাররফের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তার গ্রেপ্তারে হেমায়েতপুরে
স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরে
এসেছে।