নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ঠাকুরগাঁও শহরকে ‘পরিচ্ছন্ন নগরী’ হিসেবে দেশের কাছে উপস্থাপন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বড় মাঠের আবর্জনা কুড়িয়ে পরিষ্কার করলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইশরাত ফারজানা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে মুক্ত আড্ডা আলোচনায় অংশ নেওয়ার পর মাঠ পরিষ্কারের উদ্যোগ নেন ডিসি। এ সময় যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন কাগজের টুকরা, চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক বর্জ্য নিজ হাতে তুলে ঝুড়িতে ভরে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলে দেন তিনি।
এ কাজে অংশ নেন- পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আল মামুন, প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠুসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এ দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা নানান মন্তব্য করেন।
ফারিয়া আক্তার মিতু জেলা প্রশাসকের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন- শুধু ভাইরাল হওয়ার জন্য নয়; সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে তিনি আরও নিবেদিত হবেন এটাই আমাদের কাম্য।
আরেক নেটিজেন লিখেছেন- খুব অল্প সময়ে নবাগত জেলা প্রশাসক মানুষের হৃদয় জয় করেছে। তার মহৎ উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে সবার সহযোগিতা করা উচিত।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার স্কুল হাট এলাকার কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসকের সদিচ্ছা আছে -তবে তার পাশে সবার থাকা দরকার।
ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়া বলে- নতুন জেলা প্রশাসক আমাদের মাতৃস্নেহে দেখেন। উনার আন্তরিকতা ও মমতা বন্ধন আমরা আবেগাপ্লুত হয়ে যাই।
জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলা বড় মাঠ চমৎকার একটি স্থান। এখানে খেলাধুলার পাশাপাশি বিকালে লোকজন বেড়াতে আসেন। মাঠে আসলে মন খারাপ হয়ে যায়। দেখা যায় পলিথিন কাগজ যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আজকের সমাজ সেবা প্রোগ্রামে এ মাঠে যারা উপস্থিত ছিলাম তারা সবাই মাঠে যত কাগজের টুকরো পলিথিন এগুলো পরিষ্কার করে ফেলেছি। এরপর থেকে এ জেলায় যেখানে যেখানে ময়লা পড়ে থাকবে আমরা ওখানে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে উপস্থিত হয়ে নিজেরা ময়লা পরিষ্কার করে এ জেলা শহরটিকে একটি পরিষ্কার শহর হিসেবে জনগণের সামনে উপস্থাপন করব।