তদন্তে চা বিক্রেতার কাছে ঘুস দাবির অভিযোগ এএসআইয়ের বিরুদ্ধে

বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম

বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার এএসআই আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরির তদন্তের জন্য চা বিক্রেতার কাছে ১৩ হাজার টাকা ঘুস দাবির অভিযোগ উঠেছে। চা বিক্রেতা মো. হানিফ এ ব্যাপারে প্রতিকার পেতে বগুড়ার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এর অনুলিপি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ডিআইজি ও দুদক কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বগুড়ার নন্দীগ্রাম সদরের কচুগাড়ি এলাকার মৃত আফতাব আলীর ছেলে মো. হানিফ অভিযোগে উল্লেখ করেন, জায়গা নিয়ে বিরোধে তিনি গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রতিবেশী মৃত অসিম উদ্দিনের ছেলে মো. টুকু, আবদুল ওয়াহেদ পুটু ও মেয়ে রিনা খাতুনের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় জিডি করেন। বিবাদীরা আওয়ামী লীগপন্থি হওয়ায় এতদিন সুবিচার পাননি। তারা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করে আসছেন।
এদিকে ডিজির তদন্তে থাকা নন্দীগ্রাম থানার এএসআই আলমগীর হোসেন আদালতে রিপোর্ট পাঠানোর নামে তার (হানিফ) কাছে তিন হাজার টাকা ঘুস নেন। গত ২৬ নভেম্বর আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর আবারও তদন্তের নামে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করায় তিনি এত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে এএসআই আলমগীর হোসেন তার (হানিফ) বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দেবেন বলে শাসিয়ে চলে যান।
মো. হানিফ আরও বলেন, বিবাদীরা প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্ন সময় মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করে আসছে। নিরুপায় হয়ে এএসআই আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার এএসআই আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি হানিফের জিডির তদন্ত করছেন। তবে তার কাছে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। এছাড়া কোনো ঘুসও দাবি করেননি।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি তারিকুল ইসলাম জানান, তার কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চা বিক্রেতার কাছে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ শোনেননি। অভিযোগ পেলে এবং তদন্তে সত্যতা মিললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।