কৃষকের কাঁচা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে

উপকূল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম

কৃষকের লাগানো কাঁচা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী সেকান্দার আলী (৪৫) নামে এক কৃষক।
অভিযুক্তরা হলেন-সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. ফয়েজ ভূঁইয়া, স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নাসির হোসেন পিন্টু ও তার দুই সহোদর ফোরকান ও মাসুম হাওলাদারসহ তাদের সাঙ্গোপাঙ্গরা। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষকের অভিযোগ, বিগত তিন প্রজন্মের দখলে থাকা ৫৯ শতাংশ জমি তারা ভোগদখল করে আসছেন। চলতি মৌসুমে তিনি ওই জমিতে ধানের আবাদ করেন; কিন্তু পাকার আগেই অভিযুক্তরা গত ২৩ ডিসেম্বর গায়ের জোরে গোটা জমির সব ধান কেটে নেয়। পরে বিষয়টি তাৎক্ষণিক সদর থানা পুলিশকে জানালে এএসআই মো. শামীম হাওলাদার ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় পর্যায়ে সালিশ-মীমাংসার ব্যবস্থা করে জৈনকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মোস্তফা সরদারের কাছে কাটা ধান জিম্মায় রাখেন; কিন্তু অভিযুক্তরা জিম্মায় রাখা ধান নিয়ে যান। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতেই ভুক্তভোগীর বৃদ্ধা মা সুফিয়া বেগম ও ভাইয়ের স্ত্রী মোসেদা বেগমকে মারধর করে অভিযুক্তরা।
এ প্রসঙ্গে এএসআই শামীম হাওলাদার বলেন, সেকান্দার আলীর লাগানো ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ পেযে ঘটনাস্থলে যাই। পরে ধানগুলো স্থানীয় মোস্তফা সরদারের জিম্মায় রেখে বিষয়টি মীমাংসার জন্য বলে আসি, এরপর কী হয়েছে জানি না।
জৈনকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মোস্তফা সরদার বলেন-এএসআই শামীম হাওলাদার মৌখিকভাবে আমার কাছে ধান জিম্মায় রাখেন। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা যখন ধানগুলো নিয়ে যান, তখন আমি পুলিশকে কল দিয়ে বিষয়টি জানাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. ফয়েজ ভূঁইয়াকে কল করা হলে তিনি বলেন, আপনার সঙ্গে এখন কথা বলার সময় নাই, মিটিংয়ে আছি।