Logo
Logo
×

সারাদেশ

বালুমহাল ঘিরে উত্তেজনা

গোদাগাড়ীতে ছাত্রদল নেতাকে মারধর যুবদল নেতাদের

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৮ এএম

গোদাগাড়ীতে ছাত্রদল নেতাকে মারধর যুবদল নেতাদের

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বালুমহাল থেকে মাটিকাটার প্রতিবাদ করায় যুবদল নেতাদের মারধরের শিকার হয়েছেন ছাত্রদল নেতা সাইফুদ্দিন টমাস। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর আদালত চত্বরে তাকে মারধর করা হয়। ভুক্তভোগী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক আহŸায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তাকে মারধরের প্রতিবাদে এলাকাবাসী বুধবার গোদাগাড়ীর শেখেরপাড়া বালুমহালের সামনে মানববন্ধন করেন। তারা জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গোদাগাড়ীর ফুলতলা ও প্রেমতলী-শেখেরপাড়া বালুমহাল চলতি বছরের ইজারা নেন মোখলেসুর রহমান মুকুল। স্থানীয়রা জানায়, ফুলতলা ও শেখেরপাড়া বালুমহালের পাশাপাশি বিদিরপুর স্বপন ঘাট দিয়ে আরেকটি অবৈধ ঘাট খুলেছেন তিনি। এই তিন বালুমহালেই নদী থেকে বালু তোলার পাশাপাশি পলিমাটি কাটা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে আগে বালুমহাল থেকে সুবিধা নিয়ে আসছিল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ৫ আগস্টের পর বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের জায়গা দখল করেছেন।  আরও জানা যায়, আওয়ামী সরকার পতনের পর মুকুল আত্মগোপনে চলে যান। কিন্তু এরই মধ্যে এই বালুমহালের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের কয়েকজন নেতা। মুকুলের হয়ে সবকিছু দেখাশোনা করছেন তার ভাই বাবু ও ভাতিজা সাজিম। সাজিম রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্য।

আহত টমাস জানান, এলাকার মানুষ বালুমহালে মাটি কাটার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। এখানে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও অংশ নিচ্ছেন। এ জন্য রাজশাহী জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ডিকো তাকে কল করে হুমকি দেন। আমি তাকে স্থানীয়দের অসুবিধার কথা জানালে তিনি আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। তিনি রাজশাহীর আদালতে এলে তাকে মারধর করা হয়। ডিকো বলেন, টমাস দলের নাম ভাঙিয়ে বালুমহাল থেকে চাঁদা দাবি করেছিল। এ জন্য আমি তাকে ফোন করি। কারণ ইজারাদারের ভাতিজা সাজিম মহানগর যুবদলের সদস্য। তাকে মারধর করিনি। সাজিম বলেন, চাঁদা দাবির কারণে জনগণ তাকে গণপিটুনি দিয়েছে। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যখনই ঘাটে মাটি কাটার প্রতিবাদ করা হয়, তখনই গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়। গত বছর  ইজারাদার গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন। আমরা বালুমহাল থেকে কোনো চাঁদা চাই না। এই ইউনিয়নে কোনো বালুমহালও চাই না।

গোদাগাড়ীর ইউএনও আবুল হায়াত বলেন, গ্রামবাসীর অভিযোগ, বালুমহালে মাটি কাটা হয়। আর ইজারাদারের অভিযোগ, কেউ কেউ চাঁদা না পেয়ে বালুমহাল বন্ধ করে দিতে চায়। এটা নিয়ে বেশ জটিলতা। ইজারার মেয়াদ আর চার মাস আছে। এটা শেষ হলে এবার গ্রামবাসীর সঙ্গে বসব। তারা না চাইলে আর বালুমহাল ইজারা দেওয়া হবে না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম