Logo
Logo
×

সারাদেশ

সরকারি স্কুলে লটারিতে টিকেও ভর্তি হতে পারছে না ৭১ শিক্ষার্থী

Icon

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ পিএম

সরকারি স্কুলে লটারিতে টিকেও ভর্তি হতে পারছে না ৭১ শিক্ষার্থী

ভর্তির লটারিতে টিকার পরও শুধুমাত্র বয়সের অজুহাতে সাতক্ষীরা সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারছে না ৭১ জন শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন ভর্তির লটারিতে টিকে থাকা শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান শহরের রাধানগর এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান আল কাদরীর ছেলে শামিম কাদরী।

তিনি বলেন, সাতক্ষীরার সরকারি বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তির আবেদনের জন্য গত ১২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল শিক্ষা অধিদপ্তর। সেই অনুযায়ী ভর্তি ইচ্ছুক সাতক্ষীরার সব শিক্ষার্থীর অভিভাবক অনলাইনে আবেদন করেন। আবেদনের পরে বিধিমোতাবেক লটারি অনুষ্ঠিত হয়। লটারিতে দুটি বিদ্যালয়ের দুই শিফটে মোট ৪৮০ জন আবেদনকারী শিক্ষার্থী তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। সেই অনুযায়ী লটারিতে জেতার পর আমাদের সন্তানরা যেসব স্কুলে আগে লেখাপড়া করত সেখান থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ফেলি; কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ভর্তি হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে গেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বয়সের অজুহাত দেখিয়ে আমাদের ৭১ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি নিচ্ছেন না। ফলে ৭১ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে অভিভাবকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। তাদের ভবিষ্যত নিয়েও আমরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি।

শামিম কাদরী প্রশ্ন রেখে বলেন, যদি বয়সের কারণে আমাদের সন্তানরা ভর্তি হতে না পারে তাহলে কেন অনলাইনে তাদের আবেদন গ্রহণ করা হলো। কেনই বা লটারিতে তারা ভর্তির সুযোগ পেল। এভাবে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত কেন অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। সন্তানদের নিয়ে আমরা ৭১টি পরিবার বিভিন্ন দপ্তরে ছোটাছুটি করেও কোনো ফলাফল পাচ্ছি না। লটারিতে টিকে থাকা একই বয়সের শিক্ষার্থীরা খুলনা জিলা স্কুলসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্য স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও নীতিমালার অজুহাতে সাতক্ষীরার শিক্ষার্থীদের সেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান ও বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম টুকু কর্তৃক গত ১৭ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত একপত্রে ভর্তি সম্পর্কিত যে পত্র দেওয়া হয়েছে সেখানে বয়সের কোনো বিষয় উল্লেখ করা হয়নি। 

এছাড়া অনলাইনেও বয়সের বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ দেওয়া হয়নি। যদি থাকত তাহলে আমরা অন্যান্য স্কুল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত হুমকির মধ্যে ফেলতাম না।

তিনি লটারিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগপ্রাপ্ত ৭১ জন শিক্ষার্থীকে সাতক্ষীরা সরকারি বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধান উপদেষ্টা এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে অর্ধশতাধিক অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম