Logo
Logo
×

সারাদেশ

রায়পুরের ভূয়া সমন্বয়ক ও হাসপাতালের ম্যানেজারকে গণপিটুনি!

Icon

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম

রায়পুরের ভূয়া সমন্বয়ক ও হাসপাতালের ম্যানেজারকে গণপিটুনি!

লক্ষ্মীপুর শহরে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের পাশে ভবনের সামনে মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে ভূয়া সাংবাদিক ও অবসর প্রাপ্ত কর্ণেল পরিচয়দানকারী রায়পুরের দুই যুবককে গণপিটুনী দিয়েছেন স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা। 

মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে জেলা শহরের ওয়েলকাম চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

অভিযুক্ত দুই যুবক হলো, যুব রেড ক্রিসেন্টের রায়পুর উপজেলার কোঅর্ডিনেটর আল মাজেদ সিয়াম (ভুয়া সাংবাদিক) এবং সৌরভ হোসেন (ভূয়া অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল) রায়পুর বাস টার্মিনাল এলাকার মা ও শিশু হাসপাতালের ম্যানেজার। ফরিদগঞ্জ উপজেলার একলাসপুর গ্রামের বাসিন্দা সৌরভ। 

আহত অধ্যাপক দিদার আহাম্মেদ জানান, আমাদের বাসার সামনে গাড়ি পার্কিং করতে নিষেধ করলে আমার সঙ্গে চরম বাকবিতণ্ডায় জড়ায় দুই যুবক। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে আল মাজেদ সিয়াম নিজেকে মেট্রো টিভি নামে রায়পুরের সাংবাদিক এবং সৌরভ হোসেন নিজেকে পরিচয় দেন অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল হিসেবে।  

এ সময় অধ্যাপক দিদার আহমেদ ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়দানকারী আল মাজেদ সিয়াম ও সৌরভ হোসেনকে গালমন্দ করতে নিষেধ করায় তারা আরও উত্তেজিত হয়ে তাকে কিল-ঘুষি দিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ সময় স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা এগিয়ে আসলে সিয়াম ও সৌরভকে আটক করে গণপিটুনী দিয়ে এএসআই সবুজের কাছে সোপর্দ করলেও সৌরভসহ তিন যুবক পালিয়ে যায়। যুবকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

জানা গেছে, ভুয়া সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া আল মাজেদ সিয়াম এর আগেও ভূয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে মিডিয়া ট্রায়ালে এসেছে। তিনি যুব রেড ক্রিসেন্টের রায়পুর উপজেলার কোঅর্ডিনেটর দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত সিয়াম রায়পুর পৌরসভার বাসিন্দা। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আল মাজেদ সিয়াম এবং সৌরভ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে জেলা শহরে ওয়েলকাম চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে একটি ভবনের মালিক অধ্যাপক দিদার আহাম্মেদের সঙ্গে আমাদের মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কোনো মারামারি হয়নি। আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোন্নাফ বলেন, রাতে ঘটনাটি শুনেছি। থানা থেকে এএসআই সবুজসহ ফোর্স পাঠিয়েছিলাম। অধ্যাপক দিদার আহাম্মদের লিখিত কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম