Logo
Logo
×

সারাদেশ

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসককে মারধর

Icon

ফরিদপুর ব্যুরো

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসককে মারধর

চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দার।

ফরিদপুরে মো. মোত্তাকিম নামে এক নার্সিং শিক্ষার্থীর সঙ্গে শাহীন জোয়ার্দার নামে এক চিকিৎসকের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হন চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দার। মারধরে তার দুটি দাঁতও ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। আহত চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তার বাড়ি ফরিদপুর শহরের কোমরপুর এলাকায়।

অন্যদিকে মারধরের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ওঠা মোত্তাকিম ফরিদপুরের বেসরকারি জেড এম প্রাইভেট নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার মো. আলমগীরের ছেলে। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নি করছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়।

এ ঘটনার পর উত্তেজিত ইন্টার্নি চিকিৎসক, হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। ঘটনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে হাসপাতালের চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহীন জোয়ার্দার হাসপাতালটির ট্রমা সেন্টার থেকে নিচে নামছিলেন।  এসময় জেড এম প্রাইভেট নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মোত্তাকিম সিঁড়ি দিয়ে নিচ থেকে ওপরে উঠছিলেন। তখন অসাবধানতাবশত চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে মোত্তাকিমের। তখন উত্তেজিত হয়ে মুত্তাকিমকে গায়ের জামার কলার ধরে চড়-থাপ্পড় মারেন চিকিৎসক।

পরে বাড়ি ফিরে মুত্তাকিম তার কিছু পরিচিতজনকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে ফের গেলে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দারকে মারধর করেন। এসময় চিকিৎসকের দুটি দাঁত ভেঙে যায়।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দিলরুবা জেবা বলেন, শাহীন জোয়ার্দার ফরিদপুরের একজন সুনামধন্য অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক। তাকে যেভাবে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে, তার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। আমরা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া আমরা বিষয়টি ফরিদপুরের ডিসি, এসপিসহ স্বাস্থ্য বিভাগকে লিখিত আকারে জানানো হবে।

কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোরশেদ জানান, আমরা এ ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় এনেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম