পিকনিক নিয়ে দুপক্ষের বিতণ্ডা, কৃষক দল নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু

বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ পিএম

বগুড়ার আদমদীঘিতে পিকনিক আয়োজন নিয়ে বিরোধিতার জেরে বাগবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক আজিজার রহমান অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। রোববার রাতে উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের কয়াকুঞ্চি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আজিজার রহমান (৫৬) প্রতিপক্ষের আঘাতে নাকি হৃদরোগে মারা গেছেন, তা নিয় প্রশ্ন উঠেছে। পরিবার থেকে দাবি করা হচ্ছে, প্রতিপক্ষের আঘাতে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মৃত আজিজার রহমান বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের কয়াকুঞ্চি গ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে। তিনি ইউনিয়ন কৃষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক। রোববার সন্ধ্যার পর ওই গ্রামের বাজার এলাকায় মেজবাহুল, হিরো, রাঙ্গা, সাদ্দাম ও লিটন হোসেনসহ প্রায় ৩০ যুবক ও কিশোর হাঁস দিয়ে পিকনিকের আয়োজন করেন। গ্রামের রাস্তার পাশে তাদের রান্না শুরু হয়।
অপরদিকে রাত ৯টার দিকে একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আজিজার রহমানের অনুসারীরা এ পিকনিকের বিরোধিতা করেন। তারা ওই পিকনিক স্পটে গেলে দুপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে চুলায় থাকা রান্নার পাতিলসহ খাবার মাটিতে ফেলে দেয়। এ নিয়ে আবারো বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। তখন পিকনিকের আয়োজনকারীরা উত্তেজিত হয়ে আজিজার রহমানের কাছে বিচার চান।
চিৎকারের মধ্যে আজিজার রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করলে পথিমধ্যে চাঁপাপুর এলাকায় আজিজার রহমান মারা যান। এতে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
খবর পেয়ে আদমদীঘি থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
মৃত আজিজার রহমানের ছেলে নাঈম হোসেন দাবি করেন, প্রতিপক্ষের আঘাতে তার বাবা মারা গেছেন।
সোমবার বিকালে আদমদীঘি থানার ওসি এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এই অপ্রীতিকর ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা করে মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। সোমবার বিকাল পর্যন্ত কেউ মামলা দেয়নি। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।