Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে আবাদি জমির মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ

Icon

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০১ পিএম

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে আবাদি জমির মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খোরশেদ জমিদারের নেতৃত্বে একটি চক্রের বিরুদ্ধে আবাদি জমির মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

ভুক্তভোগী সাহাদাত হোসেন প্রতিকার চেয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক, হেমায়েতপুর সেনাক্যাম্প ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও মাটি কাটা থামেনি।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে তিনি সেনাক্যাম্পে অভিযোগ দেন। এক রাতে সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপর কিছু দিন থেমে থাকলেও সম্প্রতি আবারো তারা রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।

ভুক্তভোগী সাহাদাত হোসেন রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি। 

তিনি বলেন, বাঘৈর মৌজায় নানার ওয়ারিশ সূত্রে আমার মামা ও খালারা ১৩৪ শতাংশ জমির মালিক। ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখ রাত থেকে তারা আমাদের মালিকানাধীন কৃষি জমির মাটি কাটা শুরু করে। জমির কোথাও ৮ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত মাটি কেটে নিয়েছে। ইতিমধ্যে তারা কোটি টাকার মাটি ইটভাটায় বিক্রি করেছে।

তিনি আরও বলেন, মাটি কাটার সঙ্গে খোরশেদ জমিদার ও তার দুই সহযোগী আরিফ এবং রাজা মিয়া জড়িত। এ বিষয়ে আমি রাজা মিয়াকে ফোন করলে সে জানায়- এটা দিদির নির্দেশ। কথোপকথনের অডিও রেকর্ড আছে।

মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তেঘরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খোরশেদ জমিদার বলেন, মাটি কাটার সঙ্গে আমি জড়িত না। কারা মাটি কাটে সেটা জানিও না। ওই জমি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলছে। আমি তাদের মিলিয়ে দিতে মিডিয়া করেছিলাম। কিন্তু সমাধান হয়নি। এরপর তারা কি করেছে আমি জানি না।

এ বিষয়ে আরিফ ও রাজাকে ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেননি।

স্থানীয়রা জানান, খোরশেদ জমিদারের অপকর্মের হাতিয়ার আরিফ ও রাজা। এরা জমির মাটি কাটা, জমি দখলসহ নানা অপকর্মে জড়িত।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনের সূত্র ধরে একটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। সেটি আমি এসিল্যান্ডের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এসিল্যান্ড তহসিল অফিসে পাঠিয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসলে আমরা বলতে পারবো কি হয়েছে। ভুক্তভোগীকে কোর্টে মামলা করতে বলেছি, তারা রাজি হয় না। তারা শুধু আমাদের আশায় থাকে। এতো এতো কাজ, এসব ছোটখাটো বিষয় দেখার সময় কই?

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, জমি জমার বিষয় তো দেখবে ইউএনও স্যার। তাছাড়া যিনি অভিযোগ করেছেন তাকে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। তিনি আসেননি।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম