Logo
Logo
×

সারাদেশ

জামায়াত নেতা ইসহাক খন্দকার

‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের দিকে তাকালে চোখ উপড়ে ফেলব’

Icon

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখলী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম

‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের দিকে তাকালে চোখ উপড়ে ফেলব’

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মসলিসে শূরা সদস্য ও নোয়াখালী জেলা আমির ইসহাক খন্দকার বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের দিকে আড় চোখে তাকালে ভারতের চোখ উপড়ে ফেলব।

তিনি বলেন, আধিপত্যবাদী ভারতের আশপাশের দেশগুলোর কোনোটির সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক নেই। তাদের পাশে চীন, মিয়ানমার এমনকি হিন্দু রাষ্ট্র নেপালের সঙ্গেও সুসম্পর্ক নেই। পার্শ্ববর্তী ছোট দেশ মালদ্বীপও তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়েছে, তাদের আধিপত্যবাদী নীতির কারণে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সম্মেলনে সিরাজপুর পিএল অ্যাকাডেমি মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোহাম্মদ আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মু. ইকবাল হোসাইনের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারী ইসমাইল হোসেন মানিক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, সেক্রেটারী মাওলানা মিজানুর রহমান, বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা হেলাল উদ্দিন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মাওলানা মহি উদ্দিন, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন জামায়াত নেতা মাওলানা গোলাম ফয়সল, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী হানিফ আনসারী, অ্যাডভোকেট শংকর ভৌমিক, শহিদ আবদুর নুর রাসেলের পিতা সফি উল্যাহ প্রমুখ।

সম্মেলনে শহিদ পরিবার ও আন্দোলনে নির্যাতিতদের নগদ অর্থ উপহার দিয়েছেন জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভেবেছিল, জুডিশিয়াল কিলিং করে এবং কারাগারে নির্যাতনে হত্যা করে জামায়াত-শিবিরকে শেষ করা যাবে, কিন্তু তা হয়নি। স্বৈরশাসক আইয়ুব খান দুই বার, শেখ মুজিব এক বার এবং সর্বশেষ তার কন্যা শেখ হাসিনা গত ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল। এখন আইয়ুবও নেই, শেখ মুজিবও নেই। ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার পর ৩ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী বঙ্গভবনে, আর শেখ হাসিনা দিল্লিতে পালিয়ে গেছে।

চট করে নাকি হাসিনা বাংলাদেশে আসবে- এমন কথা শুনেছিলাম। আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি, যোগ করেন জামায়াত নেতা। 

ইসহাক খন্দকার অলেন, দুই হাজার ছাত্র-জনতা হত্যা, ৩৫ হাজার গুলিবিদ্ধ আহতের বিচার হাসিনাকে কাশিমপুর কারাগারে রেখেই হবে। শেখ হাসিনার গুন্ডা বাহিনী, হেলমেট বাহিনী ও ছাত্রলীগকে অনেক অপকর্মের কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ধরনের অনেক অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগসহ সব লীগকে নিষিদ্ধের দাবি উঠেছিল ১৮ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে। কিন্তু আমাদের বন্ধুরা প্রশ্ন তুলেছে, কাদের সঙ্গে আলোচনা করে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। 

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তোমরা কারা? কাদের সঙ্গে আলোচনা করবে? শহিদ পরিবারের মা-বাবাদের সঙ্গে আলোচনা করেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি শাহাবউদ্দিনকে অপসারণের দাবি উঠলেও আমাদের বন্ধুরা প্রশ্ন তোলে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে কথা বলে, সংবিধান বৈধ থাকলে এ সরকার বৈধ থাকে না। এখন তো সংবিধানই নেই, তোমরা কোন সংবিধানের কথা বলছো?

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম