যশোরের মণিরামপুরের গোবিন্দপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ত্রিভুজ প্রেমের সম্পর্কের বিরোধে জহিরুলকে খুন করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- মনিরামপুর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের হাবিবুর মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম, একই গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে মামুন হোসেন ও জলির মোড়লের স্ত্রী মর্জিনা বেগম।
শনিবার বিকালে জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার শফিকুল জানিয়েছেন, মনিরামপুরের কোনাকোলা বাজারে জহিরুল ইসলামের টিউবওয়েলের ব্যবসা আছে। তিনি শ্যামনগর গ্রামের জলিল মোড়লের স্ত্রী মর্জিনা বেগমের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এর আগে মর্জিনা বেগম দীর্ঘদিন ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে প্রেম করে আসছিলেন।
জহিরুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি সম্প্রতি শফিকুল জানতে পারলে মর্জিনা বেগমের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা ও দূরত্ব তৈরি হয়। এ নিয়ে মর্জিনা শফিকুলকে গালমন্দও করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল ইসলাম অপমানের প্রতিশোধ নিতে জহিরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন সহযোগী মামুনকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকে।
১০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কোনাকোলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে জহিরুলের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় ধারালো কুড়ালের আঘাতে হত্যা করে লাশ ও মোটরসাইকেল রাস্তার পাশে ফেলে রাখে শফিকুল। পরদিন সকালে লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই অজ্ঞাত আসামি করে নিহতের স্ত্রী সাইফুর নাহার মনিরামপুর থানায় মামলা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও থানা পুলিশ যৌথভাবে তদন্তে নামে। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধীদের শনাক্ত করা হয় দুই দিনের মধ্যেই।
১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে মনিরামপুর উপজেলার শ্যামনগর গ্রাম থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার ও হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো কুড়াল, মোটরসাইকেল ও আসামিদের ব্যবহৃত ২টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।