যশোরের চৌগাছায় রাবিয়া খাতুন হত্যা মামলার প্রধান আসামি তামিমকে (২০) গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জুম্মার নামাজের আগ মুহূর্তে চৌগাছা শহরের জামে মসজিদের পাশে সবজি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তামিমকে থানায় নেওয়া হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে শহরের জামে মসজিদের পাশের সবজি বাজারে তামিমকে দেখতে পেয়ে নিহত রাবিয়ার স্বামী রবিউল ইসলাম ও ছেলে আল আমিন বাজারের লোকজনের সহায়তায় ধরে ফেলেন। এসময় তামিমকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি, চড় থাপ্পড় মারে উপস্থিত জনতা। স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ হোসেন বলেন, নিহতের পরিবারের লোকজন বাজারে পেয়ে মারধর করে। সংবাদ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখনো তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। খাবার ও ওষুধ খাইয়ে রাখা হয়েছে একটু সুস্থ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজের পর ১০ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) প্রতিবেশী তামিমের বাড়ির প্রাচীরের পাশের ময়লা পানির ডোবা থেকে রাবিয়া খাতুনের (৪৬) লাশ উদ্ধার হয়। লাশ উদ্ধারের আগের দিন ৯ ডিসেম্বর তামিমের বাড়ির ফটকের সামনে থেকে নিহত রাবিয়ার জুতা ও হাতে থাকা টর্চ লাইট উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে তামিম ও তার পিতা তাজুদ্দিন, চাচা জসিম উদ্দিনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে মামলা করেন।