বড়লেখায় ১২ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম

ছয় বছর পর মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস, সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য বেলাল আহমদ, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য সঞ্জয় দাসসহ ১২ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার নামে এবং ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে এ মামলা করেছেন উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জয়নাল উদ্দিন। তিনি হাল্লা গ্রামের মাহমদ আলীর ছেলে।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন, অজিৎ দাস, কামাল উদ্দিন, নূর হোসেন, সায়মন আহমদ উজ্জ্বল, মনোরঞ্জন বিশ্বাস, রাসেল আহমদ, আফসাক আহমদ ও চুনু মিয়া।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের খুটাউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে ধানের শীষের প্রার্থী নাসির উদ্দিন মিঠুর এজেন্টদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। ভোট কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নৌকায় সিল মারা, বিএনপির এজেন্ট ও ভোটারদের পিটিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়াসহ ভোট কেন্দ্রে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় মামলাটি করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থী নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বাদীসহ বিএনপি সমর্থিত লোকজন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে গণপ্রচারণার সময় বিবাদীরা প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিয়েছিলেন। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন বেলা ১১টার দিকে খুটাউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর এজেন্ট থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে হাতে দা, ডেগার, চাকু, কাঠের রোল, হকিস্টিক ইত্যাদি অস্ত্র নিয়ে খুটাউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করেন।
অস্ত্রের মুখে তারা ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে নৌকায় সিল মারতে থাকেন। ধানের শীষের এজেন্টরা প্রতিবাদ করায় বিবাদীরা বিএনপি নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন বিএনপি নেতা সুলেমান আহমদ, সফর উদ্দিন, সেবুল আহমদ প্রমুখ। আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী ও পুলিশের ভয়ে আহতরা চিকিৎসা নিতে পারেননি। শাসক দলের মিথ্যা মামলায় তারা পালিয়ে বেড়ান।
থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম জানান, বিএনপি নেতা জয়নাল উদ্দিনের মামলার এজাহার নামীয় আসামি আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল আহমদকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।