গাইবান্ধায় শেষ হলো তিন দিনের ইজতেমা
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দেশে খাদ্য উৎপাদনে রহমতসহ শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে গাইবান্ধার তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা।
এ সময় মহান আল্লাহর কাছে চোখের জলে নিজেদের পাপ মুক্তিসহ বিশ্ব মুসলিমের মঙ্গল ও নির্যাতিত-নিপীড়িত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কামনা করে প্রার্থনায় অংশ নেন হাজার হাজার মুসল্লি।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ হয় ১টায়। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি মাওলানা আব্দুল্লাহ শেখ।
এর আগে ফজরের নামাজের পর বয়ান শুরু হয়। মাঝে খাবার বিরতি শেষে হেদায়েতি বয়ান শুরু হয়। এ সময় বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরে ঠিক দুপুর সাড়ে ১২টায় আখেরি মোনাজাত শুরু হয়।
এ বছর গাইবান্ধা সদর উপজেলার তুলশীঘাট কাশিনাথ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিন দিনব্যাপী এ ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছিল। এদিকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আগের দিন রাত থেকেই গাইবান্ধা জেলাসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন এলাকার তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা ইজতেমাস্থলে পৌঁছান এবং রাতযাপন করেন।
শনিবার ভোর থেকে গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকার লোকজন দলে দলে ইজতেমা ময়দানে আসেন। পিকআপভ্যান, থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, কার-মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলে করে ইজতেমাস্থলে পৌঁছান লোকজন। ইজতেমার নির্দিষ্ট মাঠ ছাড়াও আশপাশে অবস্থান করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। সকাল ১১টার মধ্যেই ইজতেমা মাঠের মূল মঞ্চ থেকে আশপাশের সব জায়গা মুসল্লিদের আগমনে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
এবারের ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলারাও অংশ নেন। পুরুষের পাশাপাশি তারাও সকাল থেকে ইজতেমাস্থলের আশপাশের বাড়িতে অবস্থান করেন। গাইবান্ধা হাসপাতাল বালুয়া এলাকার রবিউল ইসলাম বলেন, ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছিলাম। এবারও অনেক মানুষের সঙ্গে মোনাজাত করলাম। আল্লাহর কাছে নিজের ও পরিবারের জন্য এবং দেশের জন্য দোয়া করেছি।
পলাশবাড়ী উপজেলার আজগর আলী বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় এলাকা থেকে অংশ নেওয়া তাবলিগ সদস্যদের সঙ্গে ছিলাম। ইবাদত বন্দেগি করেছি এবং আজকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছি।
বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ আদায় এবং আম-বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। শুক্রবার ইজতেমা মাঠে জুমার নামাজ আদায় করেন প্রায় এক লাখ মুসল্লি। ইজতেমায় ইমান-আমলের বয়ানের মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াতে উদ্বুদ্ধ করেন তাবলিগের মুরুব্বিরা।
এবার গাইবান্ধা জেলা ইজতেমা থেকে ইসলাম, ইমান, আমলের শিক্ষা ও আল্লাহর দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রায় শতাধিক জামাত বের হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।