Logo
Logo
×

সারাদেশ

আ.লীগ নেতার হামলায় নারীসহ আহত ৬

Icon

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ পিএম

আ.লীগ নেতার হামলায় নারীসহ আহত ৬

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগ নেতাসহ তার অনুসারীদের হামলায় নারীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার রাতে রায়পুরের চরমোহনা গ্রামের মালের বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটে। 

শনিবার দুপুরে শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্থ নজির আহাম্মদ।

নজির আহাম্মদ জানান, একই এলাকার মৃত সফি উল্যার ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা মো. সেলিম ও নুর মোহাম্মদ মিলন গংদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। কয়েকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ দরবার হলেও সেলিম জোরপূর্বক নজিরের সম্পত্তি জবরদখল করার পাঁয়তারা করছে। জায়গা সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান। 

সম্প্রতি সেলিম বিরোধকৃত জমি থেকে গাছ কাটতে গেলে নজির আহাম্মদ বাধা দেন। এতে সেলিম ও তার পক্ষের লোকজন নজির আহাম্মদকে গালমন্দ ও হুমকির বিষয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে সেলিম আরও উত্তেজিত হয়ে যায়। 

শুক্রবার রাত ৮টায় আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম পূর্ব- পরিকল্পতিভাবে স্বজন ও অনুসারীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নজির আহাম্মদের বসতঘরে হামলা চালায়। এ সময় কুপিয়ে আহত করে নজিরসহ ৬ জনকে। এ সময় প্রাণে বাঁচতে নজির আহাম্মদ ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়। 

পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে নজির ও ইব্রাহিমসহ আহত ৬ জনকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতাল ভর্তি করেন।

এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা সেলিমসহ তার পরিবার নিজেজদের বসতঘর ভাঙচুর করে উল্টো দায় চাপানোর চেষ্টা চালায়। আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম ভবিষ্যতে একা পেলে নজির আহাম্মদকে প্রাণে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিক মাহমুদ বলেন, শুক্রবার রাতে আহত নজির আহাম্মদ ও তার স্ত্রীসহ তার পরিবারের কয়েকজন মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। তবে এখন তারা শঙ্কামুক্ত রয়েছে। 

এ বিষয়ে চরমোহনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. সেলিম জানান, নজির আহাম্মদসহ তার লোকজন উল্টো আমার পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাঙচুর করেছেন। আমিও বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভুইয়া বলেন, মারামারি ও ভাঙচুর বিষয়ে চরমোহনা গ্রামের দুইপক্ষই লিখিত অভিযোগ করেছেন। একজন এসআইকে দিয়ে তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম