Logo
Logo
×

সারাদেশ

রাণীনগরে

ন্যায্যমূল্যের দোকানে স্বস্তি স্বল্প আয়ের মানুষের

Icon

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম

ন্যায্যমূল্যের দোকানে স্বস্তি স্বল্প আয়ের মানুষের

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন খেটেখাওয়া স্বল্প আয়ের মানুষেরা। প্রতিদিন বাজারে বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এ চিত্র দেখা গেছে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বাজারগুলোতে।

ক্রেতারা বলেন, চাল, ডাল, তেল, মসলা, নিত্যপ্রয়োজনীয় আলু, মরিচ, পেঁয়াজ, শাক ও সবজিসহ মাছ, মাংসের দাম বেড়েছে। এতে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে।

অবশেষে উপজেলা প্রশাসনের পরিচালনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে স্বস্তি মিলেছে স্বল্প আয়ের মানুষের। 

এ দোকানের বিক্রেতা হিসেবে সহযোগিতা করছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। গত সোমবার উপজেলা গোলচত্বর এলাকায় এ ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করা হয়। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ন্যায্যমূল্যের দোকানে পণ্য কিনতে ভিড় করছেন স্বল্প আয়ের মানুষেরা।

এই ন্যায্যমূল্যের দোকানে আলু ৬০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ১০৫ টাকা কেজি, রসুন ২২০ টাকা কেজি, সয়াবিন তেল ১৬৫ টাকা লিটার, ডিম ৪৫ টাকা হালি, প্যাকেট আটা ৪৫ টাকা কেজি, কাঁচমরিচ ৬০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ টাকা কেজি, সিম ৬০ টাকা কেজি ও পটোল ৩৫ টাকা কেজি পাওয়া যাচ্ছে। 

ন্যায্যমূল্যের দোকানে চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় আরও পণ্য যুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন ভোক্তারা।

শাহাদ আলী নামে এক মিস্ত্রি বলেন, ন্যায্যমূল্যের দোকান থেকে আমি আলু, পেঁয়াজ, ডিম, তেল ফুলকপি, কাঁচা মরিচসহ একটি প্যাকেজ নিয়েছি। সবমিলে হিসাব করে দেখলাম বাজারের দামের চাইতে ন্যায্যমূল্যের দোকান থেকে পণ্য কিনে দেড় থেকে ২০০ টাকা কম লেগেছে।

আরেক ক্রেতা রেজাউল ইসলাম বলেন, আমি ২ কেজি আলু ও এক হালি ডিম নিই। বাজারের দামের চাইতে আলুর কেজিতে ২০ টাকা কম ও এক হালি ডিমে ৫ টাকা কম পেয়েছি।

স্থানীয়রা বলছেন, ন্যায্যমূল্যের এই দোকানে প্রযোজনীয় আরও কিছু পণ্য যুক্ত করাসহ দোকানটি স্থায়ী করা হলে স্বল্প আয়ের মানুষেরা উপকৃত হবেন।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাইমেনা শারমীন বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের দিক-বিবেচনা করে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন এ ন্যায্যমূল্যের দোকান করেছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দোকানে আরও কিছু পণ্য যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। জনগণ (ক্রেতা) যতদিন চাইবে এই ন্যায্যমূল্যের দোকান ততদিন থাকবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম