ভেড়ামারায় শিক্ষা অফিসে তালা শিক্ষার্থীদের, ক্ষমা চেয়ে পার অফিসার
ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ এএম
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অসদাচরণ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেনকে ভেতরে রেখে অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন উপজেলার ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনালের শত শত পরীক্ষার্থী। একপর্যায়ে ক্ষমা চেয়ে পার পান এই শিক্ষা অফিসার। পরে তালা খুলে দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়ার যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ বায়েজিদ খান হিমু।
এর আগে শিক্ষার্থীরা ইউএনও রফিকুল ইসলামের গাড়ি আটকে রেখে গোডাউন মোড় এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী আন্দোলন করে। তারা ভেড়ামারা-দৌলতপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রায় নয়শ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৬০ জন পরীক্ষার্থী। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছিল শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক আহমেদ তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে আইনি ব্যবস্থা, বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এই শিক্ষা অফিসার পাঁচ বছর ধরে ভেড়ামারায় আছেন। এ সময়ে এটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর তার ১০ নম্বর থ্রেট। তারা শিক্ষা অফিসারের বক্তব্যে ভীত শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে জড়ো হয়ে তার এ বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য তাকে আহ্বান করেন।
কুষ্টিয়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ বায়েজিদ খান হিমু বলেন, শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন শিক্ষার্থী ও তাদের বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন ধ্বংস করার হুমকিও দেন। এ অবস্থায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে শিক্ষা অফিসারকে রুমে আটকে রেখেই তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে ক্ষমা চান ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেছি, তোমরা ঘরে ফিরে যাও, না গেলে তোমাদের সমস্যা হবে।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হওয়ার ঘটনা শুনেছি। তারা শিক্ষা অফিসারকে কক্ষে রেখেই তালা মেরে দেয়। পরে সমঝোতার ভিত্তিতে তালা খুলে দেওয়া হয়।